Dhaka ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির কঠোর প্রভাব:ফেরত পাঠানো হলো ১০৪ ভারতীয় নাগরিক

  • Update Time : ১০:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 36

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক অভিবাসন নীতি কঠোর করার ফলস্বরূপ, ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিককে সামরিক বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা এক নজিরবিহীন এবং প্রমাণ করছে যে, কঠোর অভিবাসন নীতি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

পাঞ্জাবের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভারতীয় নাগরিকরা মূলত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সি-১৭ সামরিক বিমানটি গত ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, অমৃতসরে অবতরণ করে। এটির মাধ্যমে ১০৪ ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরেছেন, যা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অভিবাসী পরিবহনের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট।

ফিরে আসা কয়েকজন নাগরিক সিএনএনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তাদের মতে, সেখানে পৌঁছানোর পরপরই তাদের ফেরত পাঠানো হয়, যা ছিল তাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

আকাশদীপ নামের একজন ভারতীয় নাগরিকের অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার চাচাতো ভাই সিএনএনকে জানিয়েছেন, আকাশদীপের বাবা তাদের দুই-তৃতীয়াংশ জমি বিক্রি করে ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্র পাঠাতে প্রায় ৬০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। সাত মাস আগে আকাশদীপ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তাকে ফেরত পাঠানো হলো।

এটি কেবল এক ব্যক্তির কাহিনী নয়, বরং হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীর বাস্তবতা, যারা কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি ভারতের অভিবাসন নীতির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি কি আরো কঠোর হবে? এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই কঠোর নীতির পরিণতি কী হতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ের সাথে সাথে উঠে আসবে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির কঠোর প্রভাব:ফেরত পাঠানো হলো ১০৪ ভারতীয় নাগরিক

Update Time : ১০:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক অভিবাসন নীতি কঠোর করার ফলস্বরূপ, ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিককে সামরিক বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা এক নজিরবিহীন এবং প্রমাণ করছে যে, কঠোর অভিবাসন নীতি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

পাঞ্জাবের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভারতীয় নাগরিকরা মূলত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সি-১৭ সামরিক বিমানটি গত ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, অমৃতসরে অবতরণ করে। এটির মাধ্যমে ১০৪ ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরেছেন, যা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অভিবাসী পরিবহনের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট।

ফিরে আসা কয়েকজন নাগরিক সিএনএনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তাদের মতে, সেখানে পৌঁছানোর পরপরই তাদের ফেরত পাঠানো হয়, যা ছিল তাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

আকাশদীপ নামের একজন ভারতীয় নাগরিকের অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার চাচাতো ভাই সিএনএনকে জানিয়েছেন, আকাশদীপের বাবা তাদের দুই-তৃতীয়াংশ জমি বিক্রি করে ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্র পাঠাতে প্রায় ৬০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। সাত মাস আগে আকাশদীপ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তাকে ফেরত পাঠানো হলো।

এটি কেবল এক ব্যক্তির কাহিনী নয়, বরং হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীর বাস্তবতা, যারা কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি ভারতের অভিবাসন নীতির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি কি আরো কঠোর হবে? এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই কঠোর নীতির পরিণতি কী হতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ের সাথে সাথে উঠে আসবে।