Dhaka ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

ভারতে ইলিশ রপ্তানি: পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানার ব্যাখ্যা

  • Update Time : ০৯:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 158

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ভারতে ইলিশ রপ্তানি: পরিবেশ উপদেষ্টার ব্যাখ্যা

বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতে ইলিশ উপহার হিসেবে নয়, বরং রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই রপ্তানির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কাছে যাবে, যা খুব ছোট অঙ্কের কিছু নয়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনও যায়নি, বরং একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেই দাম বেড়ে গেছে, তাই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এমন ধারণা ঠিক নয়।”

উপদেষ্টা আরও জানান, ইলিশের জন্য যারা আগ্রহী, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন প্রদান করেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আমরা চাই না, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাক।”

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

আলোচনা

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইলিশের রপ্তানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি হলে তা কেবল আর্থিক সুবিধা দেয় না, বরং এটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও দৃঢ় করতে সাহায্য করে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতা অত্যন্ত জরুরি।

সাম্প্রতিক সময়ে, ইলিশের চাহিদা বাড়ছে, যা স্থানীয় বাজারের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী। তবে রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে যে, এটি একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপ এবং সবার জন্য লাভজনক হতে পারে।

উপসংহার

ইলিশের রপ্তানি নিয়ে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, এই রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং আলোচনা চলমান রাখা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ আরও সাফল্যমণ্ডিত হতে পারে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

ভারতে ইলিশ রপ্তানি: পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানার ব্যাখ্যা

Update Time : ০৯:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে ইলিশ রপ্তানি: পরিবেশ উপদেষ্টার ব্যাখ্যা

বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতে ইলিশ উপহার হিসেবে নয়, বরং রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই রপ্তানির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কাছে যাবে, যা খুব ছোট অঙ্কের কিছু নয়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনও যায়নি, বরং একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেই দাম বেড়ে গেছে, তাই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এমন ধারণা ঠিক নয়।”

উপদেষ্টা আরও জানান, ইলিশের জন্য যারা আগ্রহী, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন প্রদান করেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আমরা চাই না, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাক।”

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

আলোচনা

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইলিশের রপ্তানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি হলে তা কেবল আর্থিক সুবিধা দেয় না, বরং এটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও দৃঢ় করতে সাহায্য করে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতা অত্যন্ত জরুরি।

সাম্প্রতিক সময়ে, ইলিশের চাহিদা বাড়ছে, যা স্থানীয় বাজারের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী। তবে রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে যে, এটি একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপ এবং সবার জন্য লাভজনক হতে পারে।

উপসংহার

ইলিশের রপ্তানি নিয়ে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, এই রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং আলোচনা চলমান রাখা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ আরও সাফল্যমণ্ডিত হতে পারে।