Dhaka ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বাজারে ডলারের সংকট নেই, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Update Time : ১০:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 56

বাজারে ডলারের সংকট নেই: গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের আশাবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বর্তমানে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই। ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকায় আমদানি-রপ্তানির গতিশীলতা বজায় রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ডলারের মূল্য নির্ধারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক করবে না। আমদানি এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই ডলারের দাম নির্ধারিত হবে।

এ মন্তব্য তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে করেছেন। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ চেম্বারের অন্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্ব

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক খরচ ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা অত্যন্ত জরুরি। এ খাতের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে। এছাড়া, ব্যাংকঋণের শ্রেণীকরণের সময়সীমা আরও তিন থেকে ছয় মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।

বিদেশে ব্যবসায়িক কার্যালয় খোলার কঠোর নীতিমালা কিছুটা শিথিলের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ উদ্যোগ রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব শিগগিরই বাজারে দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত মার্জিন ছাড়াই ঋণপত্র খুলতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী জুন-জুলাই নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যাংক ঋণের সুদের হার আরও হ্রাসের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ওপর জোর

ডিসিসিআই প্রতিনিধিদের আলোচনায় দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়ানোরও প্রস্তাব উঠে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর এই সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বাজারে ডলারের সংকট নেই, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক

Update Time : ১০:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাজারে ডলারের সংকট নেই: গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের আশাবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বর্তমানে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই। ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকায় আমদানি-রপ্তানির গতিশীলতা বজায় রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ডলারের মূল্য নির্ধারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক করবে না। আমদানি এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই ডলারের দাম নির্ধারিত হবে।

এ মন্তব্য তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে করেছেন। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ চেম্বারের অন্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্ব

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক খরচ ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা অত্যন্ত জরুরি। এ খাতের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে। এছাড়া, ব্যাংকঋণের শ্রেণীকরণের সময়সীমা আরও তিন থেকে ছয় মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।

বিদেশে ব্যবসায়িক কার্যালয় খোলার কঠোর নীতিমালা কিছুটা শিথিলের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ উদ্যোগ রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব শিগগিরই বাজারে দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত মার্জিন ছাড়াই ঋণপত্র খুলতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী জুন-জুলাই নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যাংক ঋণের সুদের হার আরও হ্রাসের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ওপর জোর

ডিসিসিআই প্রতিনিধিদের আলোচনায় দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়ানোরও প্রস্তাব উঠে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর এই সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।