“সাইবার আইনে মানহানির মামলা: সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের আইনগত পদক্ষেপ”

- Update Time : ১১:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / 43
সাইবার বুলিং ও মানহানির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সারজিস আলম শাহবাগ থানায় ফেসবুকের দুটি পেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ফেসবুকে Department of Bakshal, University of Dhaka এবং Criminals DU* (https://www.facebook.com/CriminalsDDU) নামে দুটি পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণ
সারজিস আলম জানান, বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ফেসবুকে লগইন করে দেখতে পান যে তার একটি পুরোনো ও অব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টকে কেন্দ্র করে এডিট করা কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়েছে। এই স্ক্রিনশটের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চরম মানহানিকর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া ওই পেজগুলো থেকে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য, এডিট করা ছবি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে তার ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক মর্যাদার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মামলার প্রভাব
সারজিস আলম আরও উল্লেখ করেন, ভিত্তিহীন এই প্রচারণা তাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছে এবং তার পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলছে। চরম মানসিক চাপের মুখে পড়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
আদালতের নির্দেশ
এজাহার গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাইবার আইন অনুযায়ী তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে বার্তা
এ ঘটনা দেশে ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো তথ্য প্রচার করার আগে তার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। অন্যথায়, এর ফলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।