Dhaka ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে: তারেক রহমান

  • Update Time : ০৯:৪২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 35

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যদি তরুণরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, বিএনপি তাদেরকে স্বাগত জানাবে।” শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত এক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা বর্তমানে রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে, যা একটি ইতিবাচক বিষয়। তিনি জানান, এই তরুণরা গত দেড় দশক ধরে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি এবং তারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এসব তরুণ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, তবে বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে, তবে এটি অবশ্যই স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক পথের মধ্যে থাকতে হবে। কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়।

বির্তক সৃষ্টি নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিস্টদের শক্তি বাড়াবে

তারেক রহমান আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করা, নিজ অজান্তে, পলাতক ফ্যাসিবাদীদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে তুলবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বির্তক সৃষ্টি করে, জনগণের বিশ্বাস নষ্ট করার কোনো চেষ্টা করা উচিত নয়।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার বারবার অনুরোধ, আপনারা যেন কোনো বিভ্রান্তি বা বির্তক সৃষ্টি হতে না দেন। জনগণই বিএনপির শক্তির উৎস, তাদের সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাজিত করতে পারবে।”

নির্বাচন ও সংস্কার—দুটি জরুরি বিষয়

তারেক রহমান আরও বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচন—দুইটাই বিএনপির পক্ষে এবং দুটোই অত্যন্ত জরুরি।” তিনি বলেন, “দেশের জনগণের কাছে বর্তমানে নির্বাচন বা সংস্কারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের মৌলিক সমস্যা সমাধান করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর ও ভ্যাটের বোঝা, কৃষক ও শ্রমিকদের সমস্যা—এই সবই জনগণের জন্য প্রাধান্য পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে চলছে নীরব কষ্ট। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজন।”

অন্তবর্তীকালীন সরকার—জনগণের আস্থার একটি বিকল্প

তারেক রহমান বলেন, “জনগণ বিশ্বাস করে যে, একটি নির্দলীয়, অরাজনৈতিক অন্তবর্তীকালীন সরকারই বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাহলে, প্রশ্ন উঠছে কেন এই সরকার এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? কেন জনগণের উপর অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানো হচ্ছে? কেন এখনও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছে?”

তিনি আরও যোগ করেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এবং তাদের সমস্যা সমাধান করতে সরকারের ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যাবে না।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে: তারেক রহমান

Update Time : ০৯:৪২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যদি তরুণরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, বিএনপি তাদেরকে স্বাগত জানাবে।” শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত এক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা বর্তমানে রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে, যা একটি ইতিবাচক বিষয়। তিনি জানান, এই তরুণরা গত দেড় দশক ধরে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি এবং তারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এসব তরুণ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, তবে বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে, তবে এটি অবশ্যই স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক পথের মধ্যে থাকতে হবে। কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়।

বির্তক সৃষ্টি নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিস্টদের শক্তি বাড়াবে

তারেক রহমান আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করা, নিজ অজান্তে, পলাতক ফ্যাসিবাদীদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে তুলবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বির্তক সৃষ্টি করে, জনগণের বিশ্বাস নষ্ট করার কোনো চেষ্টা করা উচিত নয়।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার বারবার অনুরোধ, আপনারা যেন কোনো বিভ্রান্তি বা বির্তক সৃষ্টি হতে না দেন। জনগণই বিএনপির শক্তির উৎস, তাদের সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাজিত করতে পারবে।”

নির্বাচন ও সংস্কার—দুটি জরুরি বিষয়

তারেক রহমান আরও বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচন—দুইটাই বিএনপির পক্ষে এবং দুটোই অত্যন্ত জরুরি।” তিনি বলেন, “দেশের জনগণের কাছে বর্তমানে নির্বাচন বা সংস্কারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের মৌলিক সমস্যা সমাধান করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর ও ভ্যাটের বোঝা, কৃষক ও শ্রমিকদের সমস্যা—এই সবই জনগণের জন্য প্রাধান্য পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে চলছে নীরব কষ্ট। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজন।”

অন্তবর্তীকালীন সরকার—জনগণের আস্থার একটি বিকল্প

তারেক রহমান বলেন, “জনগণ বিশ্বাস করে যে, একটি নির্দলীয়, অরাজনৈতিক অন্তবর্তীকালীন সরকারই বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাহলে, প্রশ্ন উঠছে কেন এই সরকার এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? কেন জনগণের উপর অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানো হচ্ছে? কেন এখনও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছে?”

তিনি আরও যোগ করেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে এবং তাদের সমস্যা সমাধান করতে সরকারের ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যাবে না।