Dhaka ০৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচার তদন্ত: ১৭ বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক ফার্মের নিয়োগ

  • Update Time : ০৫:২৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 44

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার (১৭ বিলিয়ন ডলার) পাচারের অভিযোগের তদন্তে বড় তিনটি আন্তর্জাতিক হিসাবরক্ষণ ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ফার্মগুলো হলো ইওয়াই (EY), ডেলয়েট (Deloitte) এবং কেপিএমজি (KPMG)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পাচার হওয়া এই বিপুল অর্থের উৎস, সম্পদের হদিস এবং পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) মোট ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরও জানান, পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বড় কোম্পানি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগ

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১০টি বড় কোম্পানি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই পাচার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই বিপুল অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে সম্পদ কেনায় ব্যয় করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক তদন্ত ফার্মের ভূমিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা এই তিনটি ফার্ম বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক অপরাধ তদন্তে বিশেষজ্ঞ। ইওয়াই এবং ডেলয়েট বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও কেপিএমজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদের নেতৃত্ব

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আহসান এইচ মনসুর বলেন, “দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে দুই লাখ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের লক্ষ্য নিয়েছেন তিনি।

সরকারের অবস্থান

বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাচ্ছে। এটি দেশের আর্থিক খাতকে পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দেশে আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তদন্ত কার্যক্রম সফল হলে দেশের অর্থনৈতিক খাতে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রেন্ড বিডি নিউজে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো দেশের অর্থনৈতিক খাতের অন্যতম আলোচিত এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট। বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচার তদন্ত: ১৭ বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক ফার্মের নিয়োগ

Update Time : ০৫:২৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার (১৭ বিলিয়ন ডলার) পাচারের অভিযোগের তদন্তে বড় তিনটি আন্তর্জাতিক হিসাবরক্ষণ ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ফার্মগুলো হলো ইওয়াই (EY), ডেলয়েট (Deloitte) এবং কেপিএমজি (KPMG)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পাচার হওয়া এই বিপুল অর্থের উৎস, সম্পদের হদিস এবং পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) মোট ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরও জানান, পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বড় কোম্পানি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগ

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১০টি বড় কোম্পানি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই পাচার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই বিপুল অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে সম্পদ কেনায় ব্যয় করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক তদন্ত ফার্মের ভূমিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা এই তিনটি ফার্ম বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক অপরাধ তদন্তে বিশেষজ্ঞ। ইওয়াই এবং ডেলয়েট বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও কেপিএমজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আইএমএফ-এর সাবেক অর্থনীতিবিদের নেতৃত্ব

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আহসান এইচ মনসুর বলেন, “দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে দুই লাখ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের লক্ষ্য নিয়েছেন তিনি।

সরকারের অবস্থান

বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাচ্ছে। এটি দেশের আর্থিক খাতকে পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দেশে আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তদন্ত কার্যক্রম সফল হলে দেশের অর্থনৈতিক খাতে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রেন্ড বিডি নিউজে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো দেশের অর্থনৈতিক খাতের অন্যতম আলোচিত এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট। বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।