Dhaka ০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: নীলক্ষেতে সংঘর্ষ ও স্থগিত পরীক্ষা

  • Update Time : ১১:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 37

কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় সাত পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক অবরোধ করেননি।

পরিস্থিতি ও যানবাহন চলাচল

সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক থাকলেও তুলনামূলকভাবে গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেছে। নীলক্ষেত মোড়ে সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

গতকালের সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট

রোববার রাতে নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জেরে আজ সকাল ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ সোমবারের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি, সাত কলেজের আজকের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।

অপমান ও আন্দোলনের সূত্রপাত

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার সন্ধ্যায় সাত কলেজের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের অপমান করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন। নীলক্ষেত মোড়ে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

সংঘর্ষ ও আহতের সংখ্যা

বিক্ষোভ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বের হয়ে এসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে রাত প্রায় পৌনে ২টা পর্যন্ত। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

সাত কলেজের দাবি ও অবস্থান

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সংঘর্ষে পুলিশ পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তারা হামলায় জড়িতদের বিচার এবং অভিযুক্ত সহ-উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তেজনা থামছে না।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতি কীভাবে নিরসন হবে, তা নিয়ে এখন সবার নজর।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: নীলক্ষেতে সংঘর্ষ ও স্থগিত পরীক্ষা

Update Time : ১১:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় সাত পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক অবরোধ করেননি।

পরিস্থিতি ও যানবাহন চলাচল

সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক থাকলেও তুলনামূলকভাবে গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেছে। নীলক্ষেত মোড়ে সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

গতকালের সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট

রোববার রাতে নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জেরে আজ সকাল ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ সোমবারের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি, সাত কলেজের আজকের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।

অপমান ও আন্দোলনের সূত্রপাত

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার সন্ধ্যায় সাত কলেজের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের অপমান করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন। নীলক্ষেত মোড়ে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

সংঘর্ষ ও আহতের সংখ্যা

বিক্ষোভ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বের হয়ে এসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে রাত প্রায় পৌনে ২টা পর্যন্ত। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

সাত কলেজের দাবি ও অবস্থান

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সংঘর্ষে পুলিশ পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তারা হামলায় জড়িতদের বিচার এবং অভিযুক্ত সহ-উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তেজনা থামছে না।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতি কীভাবে নিরসন হবে, তা নিয়ে এখন সবার নজর।