রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান: রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব

- Update Time : ০১:০০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / 38
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অস্বস্তিকর। তিনি বলেন, রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে সাধারণ জনগণই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি আবারো সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য দরজা খোলা থাকার কথা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে, এবং এতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “রানিং স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনা সবসময় খোলা আছে। তাদের দাবি নিয়ে আমরা আর্থিক দিক থেকে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত আছি।” তিনি আরো যোগ করেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে তারা ইতিমধ্যে আগেভাগে ট্রেন বন্ধের খবর গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়েছে, যাতে যাত্রীরা যাতে প্রস্তুতি নিতে পারে।
এদিকে, যাত্রীদের জন্য বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা রেলের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে চলাচল করতে পারে। তিনি আরও বলেন, “স্টাফদের মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি দীর্ঘদিন ধরে রয়ে গেছে, অনেক অংশ পূরণ হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।”
এছাড়া, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, রেল চলাচল বন্ধের কারণে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না, তবে সাধারণ জনগণের যাত্রা এবং সুবিধায় প্রভাব পড়েছে। তিনি দ্রুত সমাধানের আশা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে সামনে ইজতেমা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, কমলাপুর এবং বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ২০টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি আরও প্রয়োজন হয়, বাস সংখ্যা বাড়ানো হবে।
অন্যদিকে, রানিং স্টাফরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলোর জন্য আন্দোলন করছে, বিশেষ করে মূল বেতন, রানিং অ্যালাউন্স এবং অবসরকালীন সুবিধা নিয়ে। তাদের দাবি, ২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সীমিত করা সুবিধাগুলো পুনর্বহাল করা হোক। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
এই আন্দোলন এবং কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো আলোচনা ও সমঝোতার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।