৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার: অভিবাসন নীতিতে তীব্র উত্তেজনা

- Update Time : ১২:২৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / 38
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবার স্টুডেন্ট ভিসা ধারীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে নিয়মিত কাজ করছিলেন। এ ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন উঠিয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা ব্যবস্থাপনা ও অভিবাসন নীতির প্রতি।
এছাড়াও, পিএইচডি কোর্স করতে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছানো আরেক শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যথাযথ তথ্য না পাওয়ায় তার ভিসা বাতিল করা হয় এবং তাকে দ্রুত ফিরতি ফ্লাইটে পাঠানো হয়।
এদিকে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) জানায়, স্টুডেন্ট ভিসায় আসা অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপারমার্কেট, কিংবা চিকিৎসকের ক্লিনিকে কাজ করছেন, যা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন। তাদের সেলফোন ট্র্যাকিং করে এসব তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য যেমন নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, মিশিগান এবং আরিজোনা থেকে এমন ধরনের অপরাধের খবর আসছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, এবং এতে অভিবাসী কমিউনিটিতে এক ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এই সময়, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দ্রুত নিজ নিজ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর জন্য সেনাবাহিনীর বিমানও ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে, দেশব্যাপী হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফক্স নিউজের এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত সারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৪ জন টেক্সাস থেকে। এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে বিশেষ বাহিনী, এবং সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ভর্তুকি ও অনুদান স্থগিত করা হয়েছে। যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন কোটি আমেরিকান এই সুবিধাগুলোর আওতায় আর আসতে পারবেন না। হোমকেয়ার, ফুড স্ট্যাম্প, স্টুডেন্ট লোন এবং বাড়ি ভাড়া সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি অনুদান স্থগিত করার এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা হতাশায় পড়েছেন কারণ অবৈধ অভিবাসীদের দিয়ে কম মজুরিতে কাজ করানোর মাধ্যমে তারা বেশি লাভ পাচ্ছিলেন। তবে, করোনা মহামারির পর বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং শীঘ্রই নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।