সংস্কার প্রতিবেদনের পর নির্ধারিত হবে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ

- Update Time : ০৯:৫৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / 33
ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে সংস্কার কমিশনের গুরুত্ব
শফিকুল আলম জানান, বর্তমান প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করছে। ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার পরই নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময়সূচি চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সংস্কার কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হবে।’
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য
শফিকুল আলম এ সময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত, অথচ তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। যতদিন পর্যন্ত তাদের বিচার না হবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেওয়া হবে না।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সরকারের অবস্থান
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলার বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি, এসব মামলা করেছে বিভিন্ন ভিকটিমের পরিবার। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য দিয়েছে, আমরা তাদের বলবো ভুল সংশোধন করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, সরকার চাইছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ লক্ষ্যে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে কাজ করছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সরকার সকল রাজনৈতিক দলকে আলোচনার মাধ্যমে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে চাইছে বলে জানান তিনি।