কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যু: তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

- Update Time : ০৫:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 39
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের (৪০) মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা জানান, হেফাজতে নির্যাতন বা হত্যার মতো কোনো ধরনের অমানবিক আচরণকে তিনি কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, “যেকোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন যে, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার এবং মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের জেরা, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সম্ভাবনা দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।
তৌহিদুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, তাকে যৌথ বাহিনী আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু গণমাধ্যমকে জানান, “বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনী তাকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে পুলিশ আমাদের ফোন করে জানায়, তৌহিদুল গোমতী নদীর পাড়ে আহত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ দেখতে পাই।”
তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা এবং যুবদলের স্থানীয় আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। তার পরিবার জানায়, তার বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুতে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন এবং তার বাবার কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশ নেবার কথা ছিল।
এদিকে, সেনাবাহিনী তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য উচ্চপদস্থ একটি কমিটি গঠন করেছে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত, তাই ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং রাজনৈতিক মহলে এর তদন্ত দ্রুত শেষ করার দাবি উঠেছে।