Dhaka ১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

তিতুমীর কলেজের আন্দোলন স্থগিত: শিক্ষার্থীদের আশ্বাসে নতুন দিগন্ত

  • Update Time : ১০:১৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 45

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে এ ঘোষণা দেন। আন্দোলনের নেতা ও অনশনরত শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম এ সময় জানান, “আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।”

তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আশ্বাসগুলো দিয়েছে, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয় বা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না দেখা যায়, তবে আগামী সপ্তাহে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।”

এরপরই অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জুস খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান এবং তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডল।

গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এই সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানটিকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির মধ্যে সাতটি প্রধান দাবী পেশ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলি হলো, প্রতিষ্ঠানটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনকারীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন, এবং পরদিন দুপুরে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ শিরোনামে ব্যানার টানিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা, যাকে তারা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অভিহিত করেছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত করার পর, তারা জানিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আশ্বাস দিয়েছে তার বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

তিতুমীর কলেজের আন্দোলন স্থগিত: শিক্ষার্থীদের আশ্বাসে নতুন দিগন্ত

Update Time : ১০:১৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে এ ঘোষণা দেন। আন্দোলনের নেতা ও অনশনরত শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম এ সময় জানান, “আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।”

তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আশ্বাসগুলো দিয়েছে, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয় বা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না দেখা যায়, তবে আগামী সপ্তাহে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।”

এরপরই অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জুস খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান এবং তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডল।

গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এই সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানটিকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির মধ্যে সাতটি প্রধান দাবী পেশ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলি হলো, প্রতিষ্ঠানটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনকারীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন, এবং পরদিন দুপুরে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ শিরোনামে ব্যানার টানিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা, যাকে তারা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ নামে অভিহিত করেছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত করার পর, তারা জানিয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আশ্বাস দিয়েছে তার বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।