হাইকোর্টের রায়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল, খালাস পেলেন তারেক রহমান ও আব্দুস সালাম

- Update Time : ০৪:১৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 58
রায় প্রকাশ:
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, হাইকোর্ট তারেক রহমান, আব্দুস সালাম ও অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে রায় প্রদান করেছেন। ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে মামলার কার্যক্রম বাতিল করার পর, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ ১১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের মাধ্যমে চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ:
২০১৭ সালে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগ ছিল যে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া একটি বক্তব্য একুশে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর পরপরই তেজগাঁও থানার পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায়। অনুমতি পাওয়ার পর, ৮ জানুয়ারি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারেক রহমানের বক্তব্য ও তার সম্প্রচারিত তথ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি এবং সরকারের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল।
আইনজীবী প্যানেল:
মামলার শুনানিতে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেক বিশিষ্ট আইনজীবী।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
এই রায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপি নেতারা মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি আঘাত হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে সরকার পক্ষ এটি একটি প্রযোজ্য পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরছে।
এটি কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
হাইকোর্টের রায় দেশের আইন ও রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আলোচনার সূচনা করতে পারে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আইনি কার্যক্রমের বৈধতা এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠতে পারে।