বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৫ সালের একুশে পদকের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেন।

এ বছর শিল্পকলায় পাঁচজন, সাংবাদিকতায় একজন, সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে একজন, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় একজন, শিক্ষায় একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, সমাজসেবায় একজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, গবেষণায় একজন এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে মনোনীতরা হলেন:

• চলচ্চিত্র: আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)
• সংগীত: ওস্তাদ নিরোধ বরণ বড়ুয়া এবং ফেরদৌস আরা
• আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
• চিত্রকলা: রোকেয়া সুলতানা

অন্যান্য বিভাগে মনোনীতরা হলেন:

• সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
• সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
• সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম
• শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান
• সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
• ভাষা ও সাহিত্য: কবি হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) এবং শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)
• গবেষণা: মঈদুল হাসান

এছাড়া, ক্রীড়াক্ষেত্রে একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা এই পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

এ বছর মনোনীতদের মধ্যে অনেকেই মরণোত্তর সম্মাননা পাচ্ছেন, যা তাদের অসামান্য অবদানের প্রতি জাতির গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন। বিশেষ করে, বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সম্মাননা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

মনোনীত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের এই স্বীকৃতি দেশের উন্নয়ন ও সংস্কৃতিতে তাদের অবদানের প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন।