বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল: উন্নতির নতুন দিগন্ত

- Update Time : ০৮:৪৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 46
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৫ সালের শুরুতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬.২০ বিলিয়ন ডলার, যা পরবর্তীতে ২১.৩৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫.৫৪ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে এবং আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২০.২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তবে, এসব সত্ত্বেও, দেশের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি, বাংলাদেশে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। এরপর ২২ জানুয়ারি, রিজার্ভ আরও কমে ২৫.২২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এমন ওঠাপড়ার পেছনে একটি বড় কারণ হলো দেশটির পূর্ববর্তী সরকারের সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ কমে ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে গিয়েছিল। সে সময় বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, বর্তমানে নতুন গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উত্থান-পতন চলমান থাকলেও, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং। রিজার্ভ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দিকে সরকার মনোযোগী।
এখনও পর্যন্ত, রিজার্ভের এসব ওঠাপড়া দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মুদ্রানীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করছে। তবে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা আরও সুসংহত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নতুন পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সূত্র: ট্রেন্ডবিডিনিউজ