জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২৮০০ কোটি টাকা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব

- Update Time : ১০:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 30
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ প্রায় ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা হতে পারে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থান চাওয়া হয়েছে। তবে, বর্তমান চাহিদাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত পরিমাণ ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্কার করা হবে।
নির্বাচন খাতে মোট চাহিদার মধ্যে সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য খাতেও অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ ও বিতরণের জন্যও যথাযথ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর খরচের তুলনা
গত নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবারের ভোটে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০২৪) এর জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ২৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনার খাতে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা প্রস্তাবিত ছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০১৮) ও দশম সংসদ নির্বাচন (২০১৪) এর ব্যয় ছিল তুলনামূলকভাবে কম, তবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা খাতের ব্যয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল।
ইসি এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা
২০২৫-২৬ এবং পরবর্তী অর্থবছরে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনের জন্যও যথাযথ তহবিল বরাদ্দ করা হবে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ এবং নিবন্ধন খাতের জন্য প্রতিটি অর্থবছরের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট প্রস্তাবিত রয়েছে।
এতে স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশন যে ব্যয় পরিকল্পনা করেছে তা সরকারের কাছে নিশ্চিতভাবে একটি চ্যালেঞ্জ হবে, তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য যথাযথ বাজেট বরাদ্দের গুরুত্ব অপরিসীম।
সার্বিক মূল্যায়ন
এই চাহিদা সমূহ যথাযথভাবে পূর্ণ হলে, আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে আরও সুষ্ঠু এবং কার্যকরভাবে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।