বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন: নিরাপত্তা, বেড়া নির্মাণ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিক

- Update Time : ০১:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 39
বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে ৫৫তম মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন আগামী সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এই সম্মেলনে প্রধান বিষয় হিসেবে ভারত কর্তৃক সীমান্তে বেড়া নির্মাণ এবং সম্প্রতি বিএসএফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) হাতে বেসামরিকদের ওপর ‘হামলা’-এর মতো পরিস্থিতি আলোচনায় আসবে।
সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং সীমান্তে সংঘটিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা। এবারের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, এবং ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) দলজিৎ সিং চৌধুরী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলন ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং বিএসএফ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর আগস্টে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর এটি হচ্ছে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক।
এ বছরের সম্মেলনে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং দুই দেশের মধ্যে মুদ্রণিত সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, বিএসএফ এবং বিজিবি উভয়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী সমন্বয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এর আগে, গত বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে একাধিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তবে এবার পরিস্থিতি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পাঁচটি রাজ্যজুড়ে ৪,৯৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম এবং মিজোরাম নিয়ে বিস্তৃত। এই সীমান্তের নিরাপত্তা এবং অবাধ ক্রস-বর্ডার কার্যক্রম নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
গত বছর ভারতের বিএসএফ-এর সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া নির্মাণ এবং সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনা সম্পর্কে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, যা বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সীমান্ত বেড়া নির্মাণের সময় সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে।
আসন্ন এই সীমান্ত সম্মেলন উভয় দেশকে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সমাধান এবং সমন্বয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে, যা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।