Dhaka ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

শবে বরাতের পর গরু, মুরগি ও সবজি বাজারে দাম স্বাভাবিক, ক্রেতাদের স্বস্তি

  • Update Time : ০৪:২২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 35

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরু, মুরগি ও খাসির মাংসের দাম আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এসব মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা, তবে এক দিনের ব্যবধানে চাহিদা কমে যাওয়ার পর তারা আবার দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন। আজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার), রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, যা গতকাল শবে বরাতের দিন ছিল ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা। এভাবে, এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া, খাসির মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। শবে বরাত উপলক্ষে এই মাংসের দাম এক লাফে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছিল, তবে বর্তমানে তা আবার আগের দামে—১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গতকালও কিছুটা বাড়তি দাম ছিল, তবে আজকের বাজারে মাছের দাম অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। পাঙাস, তেলাপিয়া, রুই, মৃগেল, চিংড়ি, সইলসহ বিভিন্ন মাছের দাম কিছুটা কমেছে, তবে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল রুই মাছের দাম ৪০০ টাকা কেজি ছিল, আজ তা ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, সবজি বাজারে বিশেষ কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। টমেটো, আলু, বেগুন, গাজর, মূলা, শসা, খিড়া, কাঁচা মরিচসহ অধিকাংশ সবজি স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, খিড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায়, রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর রায়ের বাজারে এক ক্রেতা আবুল কালাম জানান, গতকাল শবে বরাত উপলক্ষে গরু কিনেছিলেন, কিন্তু দাম বেশি ছিল। আজ মাংসের দাম কমে যাওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। একইভাবে, মাছের দামও কমেছে, বিশেষ করে রুই মাছের দাম কমতে দেখে তিনি খুশি।

সবজি বাজারের এক বিক্রেতা মনসুর আলী জানান, তাদের বাজারে সবজির দাম সাধারণত রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম থাকে, তাই তারা খুচরায় সাশ্রয়ী দামেই বিক্রি করতে পারেন।

এভাবে, গতকালের উত্থান-পতনের পর, আজ বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং ক্রেতাদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

শবে বরাতের পর গরু, মুরগি ও সবজি বাজারে দাম স্বাভাবিক, ক্রেতাদের স্বস্তি

Update Time : ০৪:২২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরু, মুরগি ও খাসির মাংসের দাম আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এসব মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা, তবে এক দিনের ব্যবধানে চাহিদা কমে যাওয়ার পর তারা আবার দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন। আজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার), রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, যা গতকাল শবে বরাতের দিন ছিল ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা। এভাবে, এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া, খাসির মাংসও কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। শবে বরাত উপলক্ষে এই মাংসের দাম এক লাফে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২১০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছিল, তবে বর্তমানে তা আবার আগের দামে—১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গতকালও কিছুটা বাড়তি দাম ছিল, তবে আজকের বাজারে মাছের দাম অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। পাঙাস, তেলাপিয়া, রুই, মৃগেল, চিংড়ি, সইলসহ বিভিন্ন মাছের দাম কিছুটা কমেছে, তবে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল রুই মাছের দাম ৪০০ টাকা কেজি ছিল, আজ তা ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, সবজি বাজারে বিশেষ কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। টমেটো, আলু, বেগুন, গাজর, মূলা, শসা, খিড়া, কাঁচা মরিচসহ অধিকাংশ সবজি স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, খিড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায়, রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর রায়ের বাজারে এক ক্রেতা আবুল কালাম জানান, গতকাল শবে বরাত উপলক্ষে গরু কিনেছিলেন, কিন্তু দাম বেশি ছিল। আজ মাংসের দাম কমে যাওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। একইভাবে, মাছের দামও কমেছে, বিশেষ করে রুই মাছের দাম কমতে দেখে তিনি খুশি।

সবজি বাজারের এক বিক্রেতা মনসুর আলী জানান, তাদের বাজারে সবজির দাম সাধারণত রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম থাকে, তাই তারা খুচরায় সাশ্রয়ী দামেই বিক্রি করতে পারেন।

এভাবে, গতকালের উত্থান-পতনের পর, আজ বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং ক্রেতাদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।