অপারেশন ডেভিল হান্ট: ১০ দিনে গ্রেপ্তার ৫,৩১৯, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

- Update Time : ০৯:২৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 36
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অব্যাহত রয়েছে, এবং এই অভিযানের আওতায় আরও ৫২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত) ৫২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিশেষ অভিযানের বাইরেও বিভিন্ন মামলায় আরও ৯৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম
গত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে:
- একটি পিস্তল
- একটি দেশীয় শুটার গান
- পিস্তলের গুলির খোসা একটি
- লাল রঙের সিসার তাজা কার্তুজ একটি
- কার্তুজের খোসা দুটি
- চাপাতি একটি
- রামদা দুটি
- ছেনি একটি
- দা দুটি
- ছোরা চারটি
- ধারালো চাকু একটি
- ধামা দুটি
- স্টিলের তৈরি ব্যাটন একটি
- প্লাস একটি
- খেলনা পিস্তল একটি
অভিযানের প্রেক্ষাপট
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পরই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে প্রতিরোধ করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত একজন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
অভিযান নিয়ে মতভেদ
এই অভিযানের ফলে একদিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে, অন্যদিকে এটিকে দমনমূলক পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, সরকার তাদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।