জুনাইদ আহমেদ পলক: কারাগারে সুমনের সঙ্গে রুটি-কলা ভাগাভাগির অমানবিক অভিজ্ঞতা

- Update Time : ০৭:২১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 33
বিশেষ প্রতিবেদক, ট্রেন্ড বিডি নিউজ
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কারাগারে মানবেতর অবস্থায় থাকার কথা দাবি করেছেন। সম্প্রতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি জানিয়েছেন, চিড়া-মুড়ি খাওয়ারও টাকা নেই এবং অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি-কলা ভাগ করে খাচ্ছেন।
পলককে ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসার সময় তাকে হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আনা হয়। সকাল ১১টায় আদালতে নেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে একে একে কিছু কথা বলেন।
কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে পলক বলেন, “চিড়া-মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই। এখানে সুমনের (ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) সঙ্গে রুটি-কলা ভাগ করে খাই।” এই বক্তব্যের পর তিনি বলেন, “জেলখানার জীবন খুবই কঠিন। সবার কমপক্ষে সাত দিন হলেও কারাগারে থাকা উচিত, এটি মারাত্মক শিক্ষা দেয়।”
তবে তার এই বক্তব্য শোনার পর পুলিশ তাকে কথা বলতে নিষেধ করে। পলক পাল্টা বলেন, “আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, আদালতে কথা বললেই তার রিমান্ড বাড়ানো হয়। তিনি দাবি করেন, “কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আইনজীবীরা কথার মাধ্যমে রিমান্ড বাড়ানোর কারণও জানেন।”
এ সময় পলক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। প্রথমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে পিপি তার সালামের উত্তর দেন। এরপর পলক বলেন, “ভালো, পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।”
আদালত শেষে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম পলককে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে তাকে গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পলকের এই বক্তব্য এবং অভিযোগ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও কারাগারের অবস্থা সম্পর্কে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।