তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

- Update Time : ০৯:১৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 25
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে মো. নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মো. মাহফুজ আলম। এর আগে মাহফুজ আলম সরকারের দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মাহফুজ আলমের নতুন দায়িত্বের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন নাহিদ ইসলাম। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এই দুই মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আসবেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা ও জল্পনা চলছিল। অবশেষে মাহফুজ আলমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হলো, যা আগে থেকেই গুঞ্জন হিসেবে শোনা যাচ্ছিল।
মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট তাকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক মাহফুজ আলম রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। গণ–অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মাহফুজ আলমের নতুন দায়িত্ব গ্রহণকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ খাতের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাহফুজ আলমের এই নতুন দায়িত্বে নিয়োগের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় কীভাবে সামনের দিনগুলোতে কাজ করে, তা এখন দেখার বিষয়।