Dhaka ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সোহেল তাজের সাক্ষ্য দিতে কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত

  • Update Time : ০২:০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 69

ঘটনার পটভূমি:
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের বিদ্রোহে ৭৪ জন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ঘটনাটির তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয় তদন্ত কমিশন।

সোহেল তাজের ভূমিকা:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ওই সময়কার ঘটনাবলি নিয়ে সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের অভিযোগের সম্মুখীন হন। ইলিয়াস হোসাইন দাবি করেন, সোহেল তাজ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এই অভিযোগের জবাবে সোহেল তাজ প্রমাণ হাজিরের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এবং কমিশনের কাছে তার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।

কমিশনে উপস্থিতির উদ্দেশ্য:
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি নবগঠিত তদন্ত কমিশনকে তার পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসেরকেও তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করার অনুরোধ করেন। তার মতে, এই তদন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব:
এই ঘটনায় সোহেল তাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিতর্ক সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার এই পদক্ষেপ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি সাহসী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্ত কমিশনের সামনে তার বক্তব্য ও প্রমাণ উপস্থাপন এই মামলার সত্যতা উদঘাটনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

উপসংহার:
সোহেল তাজের এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মতো একটি সংবেদনশীল ও জটিল বিষয়ে সত্য উদঘাটনে তার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তদন্ত কমিশন তার বক্তব্য ও পর্যবেক্ষণ থেকে কী তথ্য পায়, তা এই মামলার নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ট্রেন্ডবিডিনিউজ

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সোহেল তাজের সাক্ষ্য দিতে কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত

Update Time : ০২:০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

ঘটনার পটভূমি:
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের বিদ্রোহে ৭৪ জন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ঘটনাটির তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয় তদন্ত কমিশন।

সোহেল তাজের ভূমিকা:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ওই সময়কার ঘটনাবলি নিয়ে সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের অভিযোগের সম্মুখীন হন। ইলিয়াস হোসাইন দাবি করেন, সোহেল তাজ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এই অভিযোগের জবাবে সোহেল তাজ প্রমাণ হাজিরের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এবং কমিশনের কাছে তার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।

কমিশনে উপস্থিতির উদ্দেশ্য:
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি নবগঠিত তদন্ত কমিশনকে তার পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসেরকেও তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করার অনুরোধ করেন। তার মতে, এই তদন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব:
এই ঘটনায় সোহেল তাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিতর্ক সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার এই পদক্ষেপ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি সাহসী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্ত কমিশনের সামনে তার বক্তব্য ও প্রমাণ উপস্থাপন এই মামলার সত্যতা উদঘাটনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

উপসংহার:
সোহেল তাজের এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মতো একটি সংবেদনশীল ও জটিল বিষয়ে সত্য উদঘাটনে তার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তদন্ত কমিশন তার বক্তব্য ও পর্যবেক্ষণ থেকে কী তথ্য পায়, তা এই মামলার নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ট্রেন্ডবিডিনিউজ