Dhaka ১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

সাংবাদিককে হুমকি যুবদল নেতার: প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতির পুরনো ধারা?

ট্রেন্ডবিডিনিউজ ডেস্ক
  • Update Time : ০২:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 63

হুমকির অডিও ফাঁস: সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে বাধা যুবদল নেতার

পটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন এক সংবাদকর্মী। দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি ও বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহাগ

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে। মোবাইল ফোনে দেওয়া হুমকির সেই অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

অডিওটিতে শোনা যায়, সোহাগ বলেন:

“আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পাইছি। তুই কাজের সাইটে কেন গিয়েছিস? তুই কি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ সাইটে যাওয়ার না। তুই খোট খাইতে গেছিস? তোকে দেখে নিবো।”

পুরনো সিস্টেমের প্রতিচ্ছবি?

রাজনীতির চেয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যেন বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছে এদেশে। ১৭ বছর পর একটি সরকারি কাজ পেয়ে সাংবাদিককে প্রশ্ন করার অধিকারকেই অস্বীকার করলেন এক যুবনেতা—এটিই কি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তব চিত্র?

সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান জানান,

“আমি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সাইটে যাই। এরপর ঠিকাদার হুমায়ুন কবির সোহাগকে ফোন দিলে, তিনি আমাকে হুমকি দেন।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা সোহাগ দাবি করেন,

“আমি খারাপ কিছু বলিনি। আমরা নিজেরা বসে কথা বলে মিটমাট করবো।”

যুবদলের অবস্থান কী?

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেছেন,

“সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা অসঙ্গতি তুলে ধরবেন। পেশাগত কাজে কেউ বাধা দিলে যুবদল তা সমর্থন করে না।”

প্রশ্ন রয়ে যায়…

আমরা কি এখনও এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি মেনে চলবো, যেখানে সত্য বলার বা খোঁজ নেওয়ার সাহসকে দমন করা হয়?
রাজনীতিকদের দায়িত্ব কি উন্নয়ন নাকি প্রভাব খাটানো?
আমরা কি ‘১৭ বছর পর কাজ পাইছি’ ধরনের মানসিকতা নিয়ে আগাতে পারি?

নতুন প্রজন্ম কি এমন পুরনো সিস্টেমে বিশ্বাস রাখবে?

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

সাংবাদিককে হুমকি যুবদল নেতার: প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতির পুরনো ধারা?

Update Time : ০২:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন এক সংবাদকর্মী। দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি ও বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহাগ

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে। মোবাইল ফোনে দেওয়া হুমকির সেই অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

অডিওটিতে শোনা যায়, সোহাগ বলেন:

“আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পাইছি। তুই কাজের সাইটে কেন গিয়েছিস? তুই কি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজ সাইটে যাওয়ার না। তুই খোট খাইতে গেছিস? তোকে দেখে নিবো।”

পুরনো সিস্টেমের প্রতিচ্ছবি?

রাজনীতির চেয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যেন বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছে এদেশে। ১৭ বছর পর একটি সরকারি কাজ পেয়ে সাংবাদিককে প্রশ্ন করার অধিকারকেই অস্বীকার করলেন এক যুবনেতা—এটিই কি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তব চিত্র?

সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান জানান,

“আমি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সাইটে যাই। এরপর ঠিকাদার হুমায়ুন কবির সোহাগকে ফোন দিলে, তিনি আমাকে হুমকি দেন।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা সোহাগ দাবি করেন,

“আমি খারাপ কিছু বলিনি। আমরা নিজেরা বসে কথা বলে মিটমাট করবো।”

যুবদলের অবস্থান কী?

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেছেন,

“সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা অসঙ্গতি তুলে ধরবেন। পেশাগত কাজে কেউ বাধা দিলে যুবদল তা সমর্থন করে না।”

প্রশ্ন রয়ে যায়…

আমরা কি এখনও এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি মেনে চলবো, যেখানে সত্য বলার বা খোঁজ নেওয়ার সাহসকে দমন করা হয়?
রাজনীতিকদের দায়িত্ব কি উন্নয়ন নাকি প্রভাব খাটানো?
আমরা কি ‘১৭ বছর পর কাজ পাইছি’ ধরনের মানসিকতা নিয়ে আগাতে পারি?

নতুন প্রজন্ম কি এমন পুরনো সিস্টেমে বিশ্বাস রাখবে?