Dhaka ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়: ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত

  • Update Time : ১১:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 38

সোমবার রাতে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে এক নজিরবিহীন জয় তুলে নিল আর্জেন্টিনা। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তারা ৬-০ গোলে পরাজিত করেছে, যা ইতিহাসে ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।

ব্রাজিলের কাছে ৬ গোল হজম করা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে অনেক দিন পর এই ধরনের দুঃস্বপ্ন ফিরে আসছিল। তবে, এবার ব্রাজিলকে সেই ‘সেভেন আপ’ ফিল্মের পুনরাবৃত্তি থেকে বাঁচতে হয়েছে। তবে ৬ গোলের ব্যবধানও তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত লজ্জাজনক। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ব্রাজিল আগে কখনোই ৩ গোলের বেশি ব্যবধানে হেরেনি।

১৯৪০ সালে রোকা কাপে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল। আজকের এই জয় দিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সব স্তরের মধ্যে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল, যা তাদের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা শুরুর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। প্রথমার্ধে মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে তারা ৩ গোল পেয়ে যায়। ৬ মিনিটে রিভার প্লেটের তরুণ প্রতিভা ইয়ার সুবিয়াব্রের করা গোল, ৮ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড ক্লদিও এচেভেরির গোল এবং ৯ মিনিটে ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতোর আত্মঘাতী গোল ব্রাজিলকে পুরোপুরি বিপদে ফেলেছিল। বিরতির পর আর্জেন্টিনা আরও ৩ গোল যোগ করে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫২, ৫৪, এবং ৭৮ মিনিটে আরও তিনটি গোল দিয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের জয় নিশ্চিত করে। এই তিনটি গোল করেন অগাস্তিন রুবের্তো, এচেভেরি এবং সান্তিয়াগো হিদালগো।

আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড এচেভেরি পরবর্তীতে বলেন, “আমরা দারুণ খেলেছি এবং প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই আমাদের জন্য বিশেষ প্রেরণা নিয়ে আসে। আমরা থামব না, আরও উন্নতি করব।”

এটি ছিল আর্জেন্টিনার নতুন কোচ ডিয়েগো প্লাসেন্তের প্রথম ম্যাচ এবং তাঁর অধীনে প্রথম জয়। প্লাসেন্তে গত ডিসেম্বরে হাভিয়ের মাচেরানোর জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এবারের দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষ ৪ দল চিলিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। দক্ষিণ আমেরিকার সব ১০টি দল ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। পরবর্তীতে এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ ৪ দল বিশ্বকাপে যাবার সুযোগ পাবে।

এই মহাকাব্যিক জয়ের ফলে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল আঞ্চলিক ফুটবলে নিজের আধিপত্য আরও দৃঢ় করলো এবং তাদের সমর্থকরা ভীষণ আনন্দিত। ব্রাজিলের জন্য এটি ছিল সত্যিই এক দুঃস্বপ্ন, তবে আর্জেন্টিনার জন্য এক ঐতিহাসিক রাত।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়: ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত

Update Time : ১১:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সোমবার রাতে দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে এক নজিরবিহীন জয় তুলে নিল আর্জেন্টিনা। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তারা ৬-০ গোলে পরাজিত করেছে, যা ইতিহাসে ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।

ব্রাজিলের কাছে ৬ গোল হজম করা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭ গোল খাওয়ার পর ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে অনেক দিন পর এই ধরনের দুঃস্বপ্ন ফিরে আসছিল। তবে, এবার ব্রাজিলকে সেই ‘সেভেন আপ’ ফিল্মের পুনরাবৃত্তি থেকে বাঁচতে হয়েছে। তবে ৬ গোলের ব্যবধানও তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত লজ্জাজনক। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ব্রাজিল আগে কখনোই ৩ গোলের বেশি ব্যবধানে হেরেনি।

১৯৪০ সালে রোকা কাপে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল। আজকের এই জয় দিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সব স্তরের মধ্যে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল, যা তাদের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা শুরুর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। প্রথমার্ধে মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে তারা ৩ গোল পেয়ে যায়। ৬ মিনিটে রিভার প্লেটের তরুণ প্রতিভা ইয়ার সুবিয়াব্রের করা গোল, ৮ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড ক্লদিও এচেভেরির গোল এবং ৯ মিনিটে ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতোর আত্মঘাতী গোল ব্রাজিলকে পুরোপুরি বিপদে ফেলেছিল। বিরতির পর আর্জেন্টিনা আরও ৩ গোল যোগ করে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫২, ৫৪, এবং ৭৮ মিনিটে আরও তিনটি গোল দিয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের জয় নিশ্চিত করে। এই তিনটি গোল করেন অগাস্তিন রুবের্তো, এচেভেরি এবং সান্তিয়াগো হিদালগো।

আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড এচেভেরি পরবর্তীতে বলেন, “আমরা দারুণ খেলেছি এবং প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই আমাদের জন্য বিশেষ প্রেরণা নিয়ে আসে। আমরা থামব না, আরও উন্নতি করব।”

এটি ছিল আর্জেন্টিনার নতুন কোচ ডিয়েগো প্লাসেন্তের প্রথম ম্যাচ এবং তাঁর অধীনে প্রথম জয়। প্লাসেন্তে গত ডিসেম্বরে হাভিয়ের মাচেরানোর জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এবারের দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষ ৪ দল চিলিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। দক্ষিণ আমেরিকার সব ১০টি দল ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। পরবর্তীতে এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ ৪ দল বিশ্বকাপে যাবার সুযোগ পাবে।

এই মহাকাব্যিক জয়ের ফলে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল আঞ্চলিক ফুটবলে নিজের আধিপত্য আরও দৃঢ় করলো এবং তাদের সমর্থকরা ভীষণ আনন্দিত। ব্রাজিলের জন্য এটি ছিল সত্যিই এক দুঃস্বপ্ন, তবে আর্জেন্টিনার জন্য এক ঐতিহাসিক রাত।