সার্ক ফোয়ারারে আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমা পরবর্তী বিক্ষোভ, এনসিপি-হেফাজত জোটের হুঁশিয়ারি

- Update Time : ১১:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / 29
লিড প্যারাগ্রাফ:
ঢাকা, ৯ এপ্রিল — ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর সার্ক ফোয়ারারে জুমার নামাজের পর বড় ধরনের গণজমায়েতের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন দলটির শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংঘাতের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
বিশদ বিবরণ:
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে শুরু হওয়া এনসিপির অবস্থান কর্মসূচিতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। তারা “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর”, “খুনি লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না”, “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা”—এর মতো স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৯ মাস পার হলেও তারা তা করেনি। ফলে আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”
জোটের সম্প্রসারণ:
রাতের বিভিন্ন সময়ে ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা যমুনার সামনের বিক্ষোভে যোগ দেন। এছাড়াও জুলাই ঐক্য, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এনসিপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই জোটের লক্ষ্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনকে বেগবান করা।
পুলিশ-র্যাবের নজরদারি:
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে পুলিশ ও র্যাব। বিক্ষোভকারীরা সড়ক দখল করে অবস্থান নিলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক তাৎপর্য:
বিরোধী দলগুলোর দাবি, আওয়ামী লীগ “ফ্যাসিবাদী শাসন” চালিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে। এই বিক্ষোভকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আগামী নির্বাচনী সংস্কার ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। এনসিপির এই ডাকে সাধারণ মানুষের সাড়া কতটা পাওয়া যায়, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
এনসিপির নেতৃত্বাধীন জোট শুক্রবার সার্ক ফোয়ারারে জুমা পরবর্তী সমাবেশকে কেন্দ্র করে আরও বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে। সরকার যদি দাবি না মানে, তবে রাজধানীব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।