দুদক’র অভিযান: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলে সম্পদ যাচাই

- Update Time : ০২:০৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 87
ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি এবং অবৈধ কার্যক্রমের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, শেয়ারবাজারে জালিয়াতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের ব্যক্তিগত লকার খুলে সম্পদের হিসাব পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা শহরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে একটি বিশেষ টিম লকারগুলো খুলবে। এর আগে, আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়েছিল। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এই লকারগুলো খুলে কর্মকর্তাদের সম্পদের তালিকা তৈরি করবে, যা পরবর্তীতে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এই তদন্তের সূত্রপাত ঘটে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর আরও ৩৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তারা অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ এবং অর্থ পাচারের সাথে জড়িত।
তদন্তের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর, ড. আতিউর রহমান এবং মো. আবদুর রউফ তালুকদার, তাদের সাথে আরও কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, যেমন ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। তদন্ত চলছে অর্থ পাচার, শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি এবং রিজার্ভ তছরুপের অভিযোগ নিয়ে।
বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেউ লকার খোলার বিরোধিতা করছেন, আবার কেউ তদন্তের তথ্য প্রকাশ চাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন এই পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে, এসব তদন্ত পরবর্তীতে জনগণের সামনে প্রমাণিত হবে।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করা হয়েছে।
এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএফআইইউতে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।