Dhaka ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বিএনপির ৬৪ জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি: ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন

  • Update Time : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 30

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান শুরু হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ৬৪ জেলায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, জাতীয় সংকট মোকাবেলার জন্য উদ্যোগী হতে চাচ্ছে বিএনপি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি জানিয়েছেন, “১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৬৪টি জেলার রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতেও কর্মসূচি পালিত হবে এবং রমজানের আগেই এসব সমাবেশ শেষ হবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা ও গণতন্ত্রের সংকট

রিজভী আরো বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু পদক্ষেপ সফল হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে, কিন্তু এই সরকারের ব্যর্থতা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হবে।” তিনি সরকারকে জনগণের দৈনন্দিন দুর্দশা লাঘব করতে তাগিদ দেন এবং সরকারের ‘কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ’ প্রেক্ষিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অপশাসন ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তা

রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাদের ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের বসিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, “এখন পর্যন্ত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং সরকারি কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তা প্রদান করছেন। এছাড়া, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে, যেগুলোর মধ্যে গণহত্যার আসামিদের জামিনের বিষয়ও রয়েছে।

সংগ্রাম ও ভবিষ্যত আশঙ্কা

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেছেন, “যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া না হবে, ততদিন দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। গণহত্যার আসামিরা জামিন পাচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

তবে বিএনপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, দলটি রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রের সংকট মোকাবেলার জন্য দেশের জনগণের পাশে থাকবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যদি বিএনপির কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হয়। দেশবাসী এই রাজনৈতিক সমাবেশগুলোর মাধ্যমে সরকারের দুর্বলতা এবং ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে বলে দলটি আশা প্রকাশ করছে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বিএনপির ৬৪ জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি: ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন

Update Time : ০৮:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান শুরু হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ৬৪ জেলায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, জাতীয় সংকট মোকাবেলার জন্য উদ্যোগী হতে চাচ্ছে বিএনপি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি জানিয়েছেন, “১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৬৪টি জেলার রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতেও কর্মসূচি পালিত হবে এবং রমজানের আগেই এসব সমাবেশ শেষ হবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা ও গণতন্ত্রের সংকট

রিজভী আরো বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু পদক্ষেপ সফল হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে, কিন্তু এই সরকারের ব্যর্থতা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হবে।” তিনি সরকারকে জনগণের দৈনন্দিন দুর্দশা লাঘব করতে তাগিদ দেন এবং সরকারের ‘কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ’ প্রেক্ষিতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অপশাসন ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তা

রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাদের ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের বসিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, “এখন পর্যন্ত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং সরকারি কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তা প্রদান করছেন। এছাড়া, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে, যেগুলোর মধ্যে গণহত্যার আসামিদের জামিনের বিষয়ও রয়েছে।

সংগ্রাম ও ভবিষ্যত আশঙ্কা

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেছেন, “যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া না হবে, ততদিন দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। গণহত্যার আসামিরা জামিন পাচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

তবে বিএনপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, দলটি রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রের সংকট মোকাবেলার জন্য দেশের জনগণের পাশে থাকবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যদি বিএনপির কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হয়। দেশবাসী এই রাজনৈতিক সমাবেশগুলোর মাধ্যমে সরকারের দুর্বলতা এবং ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে বলে দলটি আশা প্রকাশ করছে।