বিপিএল ২০২৫ ফাইনালে চিটাগাংকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বরিশাল!

- Update Time : ১০:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 34
ঢাকা: বিপিএলের এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচে উত্তেজনার পারদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াইয়ে চিটাগাং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে বরিশাল।
দীর্ঘ ১২ বছর পর বিপিএলে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফাইনালে জায়গা করে নেয় চিটাগাং কিংস। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। অন্যদিকে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে সফল হয় দলটি।
চিটাগাংয়ের রানের পাহাড়
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগাংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। শুরু থেকেই চিটাগাংয়ের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন।
নাফি ৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হলেও, পারভেজ ইমন ৪৯ বলে ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। এছাড়া গ্রাহাম ক্লার্কের ২৩ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় চিটাগাং।
তামিমের ঝড়ো ইনিংসে দুর্দান্ত সূচনা বরিশালের
১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের হয়ে ওপেনিংয়ে ঝড় তোলেন তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশাল অধিনায়ক। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৬ রান। তবে ২৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তামিম। তার বিদায়ের পর ২ বলে ১ রান করে দাউদ মালান ও ২৮ বলে ৩২ রান করে হৃদয় সাজঘরে ফিরলে ম্যাচে ফিরে আসে চিটাগাং।
মায়ার্স-মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং
এরপর কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম চাপ সামলানোর দায়িত্ব নেন। তারা ৩৪ রানের জুটি গড়লেও মুশফিক ৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান। দলীয় ১৩০ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে আসেন এবং মায়ার্সের সঙ্গে দ্রুত রান তুলতে থাকেন।
কিন্তু ১৭২ রানে শরীফুল ইসলামের এক ওভারেই মায়ার্স (২৮ বলে ৪৬) ও মাহমুদউল্লাহ (১১ বলে ৭) আউট হয়ে গেলে আবারও ম্যাচ জমে ওঠে।
রিশাদের ক্যামিওতে বরিশালের শিরোপা জয়
শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। রিশাদ হোসেন ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বরিশালকে ৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এই জয়ে বিপিএলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে বরিশাল।
বরিশালের এই সাফল্যে বড় অবদান রাখেন তামিম, মায়ার্স ও রিশাদ। চিটাগাং কিংসের দারুণ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে হেরে যাওয়ার হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।