সাইবার অপরাধ দমনে এক নতুন মাইলফলক—বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দেশব্যাপী অনলাইন জুয়া ও বেটিংয়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযান চালাচ্ছে। ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই ধরনের কার্যকলাপ এখন শাস্তিযোগ্য সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

🔍 ১ হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট শনাক্ত

সিআইডি জানিয়েছে, ১,০০০-এরও বেশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্টকে অনলাইন জুয়ার আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজেন্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে, যাতে তাদের লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ড আরোপ করা যায়।

⚖️ আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ২০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে:

• অনলাইন জুয়া পরিচালনা, অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি ও প্রচারনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ
• সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড, অথবা ১ কোটি টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডই হতে পারে
• ২১ ও ২২ ধারায় আর্থিক লেনদেন, প্রতারণা, ও জালিয়াতির মাধ্যমে জুয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ

🧠 সমাজে এর প্রভাব

অনলাইন জুয়া আজ একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজেই প্রবেশযোগ্য হওয়ায়, অনেক মানুষ সহজ আয় বা লাভের আশায় এতে জড়িয়ে পড়ছে। এতে আর্থিক দেউলিয়াত্ব, পারিবারিক সহিংসতা, এমনকি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা বাড়ছে।

📢 সিআইডির পক্ষ থেকে সতর্কতা ও অনুরোধ

সিআইডি অনুরোধ জানিয়েছে—
✅ অনলাইন জুয়া ও বেটিং থেকে বিরত থাকুন
✅ সন্দেহজনক অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা মোবাইল নম্বর সম্পর্কে তথ্য থাকলে, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগ করুন

“আমরা কোনোভাবেই এই ধরনের অপরাধ বরদাস্ত করব না। অনলাইন জুয়ার শিকড় নির্মূল করাই আমাদের লক্ষ্য।” – সিআইডি কর্মকর্তা

📲 সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন। প্রযুক্তির অপব্যবহারে নয়, সঠিক ব্যবহারে গড়ে উঠুক নিরাপদ সাইবার বাংলাদেশ।