Dhaka ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ

  • Update Time : ০৯:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / 64

ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে। মিছিলটি রোকেয়া হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবারও রোকেয়া হলের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা, কেউই ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের কী বিচার হয়, তা আমরা জানতে পারি না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্ষকরা জামিন পেয়ে বাইরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংবিধানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা চাই, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক।”

মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজন পুরুষ ও একজন নারীর প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, “আমরা আর এরেস্ট-এরেস্ট নাটক দেখতে চাই না। আমরা চাই, দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। প্রকাশ্যে ফাঁসি না দিলে আমরা শান্ত হবো না।”

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী আবিদা সুলতানা পুষ্প বলেন, “ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা আজ মশাল মিছিল বের করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সব ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই। আমরা চাই না কোনো ধর্ষক আমাদের চোখের সামনে দিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াক।”

শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিশু, নারী, এমনকি বৃদ্ধারাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। অথচ আইনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, “ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার দ্রুত ও কঠোর হতে হবে। প্রকাশ্যে ফাঁসির মাধ্যমে সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে হবে।”

ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা চাই, ধর্ষকদের বিচার দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন হোক এবং তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও জবাবদিহিমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা একটি নিরাপদ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ চাই।”

উপসংহার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের এই মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী সামাজিক বার্তা বহন করে। তাদের দাবি, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক। দেশের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন, তাদের এই আন্দোলন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ

Update Time : ০৯:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে। মিছিলটি রোকেয়া হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবারও রোকেয়া হলের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা, কেউই ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের কী বিচার হয়, তা আমরা জানতে পারি না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্ষকরা জামিন পেয়ে বাইরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংবিধানে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা চাই, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক।”

মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজন পুরুষ ও একজন নারীর প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, “আমরা আর এরেস্ট-এরেস্ট নাটক দেখতে চাই না। আমরা চাই, দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। প্রকাশ্যে ফাঁসি না দিলে আমরা শান্ত হবো না।”

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী আবিদা সুলতানা পুষ্প বলেন, “ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা আজ মশাল মিছিল বের করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সব ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই। আমরা চাই না কোনো ধর্ষক আমাদের চোখের সামনে দিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াক।”

শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিশু, নারী, এমনকি বৃদ্ধারাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। অথচ আইনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, “ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার দ্রুত ও কঠোর হতে হবে। প্রকাশ্যে ফাঁসির মাধ্যমে সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে হবে।”

ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা চাই, ধর্ষকদের বিচার দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন হোক এবং তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও জবাবদিহিমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা একটি নিরাপদ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ চাই।”

উপসংহার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের এই মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী সামাজিক বার্তা বহন করে। তাদের দাবি, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক। দেশের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন, তাদের এই আন্দোলন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।