Dhaka ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :
বিভাজনের নতুন রাজনীতি ও জাতীয় ষড়যন্ত্রের হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সংগীতশিল্পী নোবেল কারাগারে কাশিমপুর থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির, কারাগারে প্রেরণের আবেদন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসার: চিকিৎসা ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আইনের শাসন ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের স্থানীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক: নিষিদ্ধ মিছিলে ডিবি’র কঠোর ব্যবস্থা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর: ইতিহাসের নিদর্শন বিলীন

  • Update Time : ০৮:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 33

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

বিক্ষোভ ও ধ্বংসযজ্ঞ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে হাজারো বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। এর আগে তারা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং পরে প্রবল আক্রোশে বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেন।

সূত্র মতে, রাত ১১টার দিকে একটি বিশাল ক্রেনযুক্ত বুলডোজার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের সূচনা ও দাবিদাওয়া

প্রতিবাদকারীদের ভাষ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশপাশে ছাত্র-জনতা জমায়েত হতে শুরু করে। রাত ৮টার দিকে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীরা আগেভাগেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন।

সন্ধ্যা নামতেই ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা একপর্যায়ে বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আঘাত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বঞ্চিত জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।

সরকারি কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

সমাপ্তি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শুধু একটি ঠিকানা নয়, এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন। তবে, আজ এই বাড়িটি শুধুই ইতিহাস।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর: ইতিহাসের নিদর্শন বিলীন

Update Time : ০৮:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

বিক্ষোভ ও ধ্বংসযজ্ঞ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে হাজারো বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। এর আগে তারা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং পরে প্রবল আক্রোশে বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেন।

সূত্র মতে, রাত ১১টার দিকে একটি বিশাল ক্রেনযুক্ত বুলডোজার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের সূচনা ও দাবিদাওয়া

প্রতিবাদকারীদের ভাষ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশপাশে ছাত্র-জনতা জমায়েত হতে শুরু করে। রাত ৮টার দিকে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনকারীরা আগেভাগেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন।

সন্ধ্যা নামতেই ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা একপর্যায়ে বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আঘাত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বঞ্চিত জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।

সরকারি কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

সমাপ্তি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শুধু একটি ঠিকানা নয়, এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন। তবে, আজ এই বাড়িটি শুধুই ইতিহাস।