বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, বরং মাত্র একটি নির্দিষ্ট দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামের তৃতীয় দিনের সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার মূল লক্ষ্য। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও, সেটি নির্ভর করছে সংস্কার কাজ কতদূর এগোচ্ছে তার ওপর।

“ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়া হলে অনেক কিছু তাড়াহুড়ো করে করতে হবে। কিন্তু সুসংগঠিত সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পরে আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন,” — বলেন ড. ইউনূস।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে শুধু একটি রাজনৈতিক দলই অবস্থান নিয়েছে, সব দল নয়। অন্তর্বর্তী সরকার জুন ২০২৬ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জনগণের আকাঙ্ক্ষাই সরকারের চালিকাশক্তি

ড. ইউনূস বলেন, “অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তিনি বিশেষভাবে তুলে ধরেন।

উদ্যোক্তা হতে তরুণদের প্রতি আহ্বান

সম্মেলনের আলোচনায় তিনি এশিয়ার অস্থির প্রেক্ষাপটে শান্তি, আস্থা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, “আঞ্চলিক ভবিষ্যৎ শুধু জিডিপির সংখ্যায় নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা এবং সাহসিকতায় নির্ধারিত হবে।”

তিনি তরুণদের চাকরি খোঁজার বদলে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।