Dhaka ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বাংলাদেশ ব্যাংক বনাম দুদক: লকার তল্লাশিতে মিলল না কিছু, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • Update Time : ১১:০৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 36

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কাজী সায়েমুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

অন্যদিকে, আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালায়। তবে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্তের জন্য আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দুদকের দলটি একটি তালিকা নিয়ে এসে লকারের তালিকার সঙ্গে সেসব নাম মিলিয়ে দেখেছে, কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ দুর্নীতি করে থাকলে তাঁর যথাযথ বিচার হওয়া উচিত, তবে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়, যা বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের মধ্যে সম্পর্কের সমন্বয় ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুদকের তদন্ত কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনো পক্ষই যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বাংলাদেশ ব্যাংক বনাম দুদক: লকার তল্লাশিতে মিলল না কিছু, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Update Time : ১১:০৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কাজী সায়েমুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

অন্যদিকে, আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালায়। তবে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্তের জন্য আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দুদকের দলটি একটি তালিকা নিয়ে এসে লকারের তালিকার সঙ্গে সেসব নাম মিলিয়ে দেখেছে, কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ দুর্নীতি করে থাকলে তাঁর যথাযথ বিচার হওয়া উচিত, তবে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়, যা বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের মধ্যে সম্পর্কের সমন্বয় ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুদকের তদন্ত কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনো পক্ষই যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।