ফেসবুকের নতুন পরিকল্পনা: পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে জাকারবার্গের উদ্যোগ

- Update Time : ১১:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 41
মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ফেসবুকের পুরনো সাংস্কৃতিক প্রভাব ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সংস্করণের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি মেটার ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশের সময়। জাকারবার্গের মতে, বর্তমানে ফেসবুক তার আগের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে এবং এর মূল অ্যাপটির তুলনায় ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ এখন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে, তিনি ফেসবুককে আরও ‘সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাবশালী’ করতে চান।
ফেসবুকের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি: জাকারবার্গ জানালেন, ভবিষ্যতে ফেসবুকের সংস্করণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে, যেগুলোর প্রতি গত কয়েক বছর বেশি মনোযোগ দেয়া হয়নি। তবে, তিনি ফেসবুকের পরিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি এবং বলেছেন যে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। যদিও, তিনি আশাবাদী যে ২০২৪ কিংবা ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যবহারকারীরা এই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
ফেসবুকের পুরনো সংস্করণ ফিরে আসতে পারে! জাকারবার্গ আরও জানিয়েছেন যে, এই বছর কিছু অ্যাকাউন্টকে পুরনো ফেসবুক সংস্করণে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ফেসবুকের প্রাথমিক সংস্করণের অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এতে অনেক পুরনো ব্যবহারকারী ফেসবুকের ‘ওজি’ সংস্করণ অনুভব করতে পারবেন।
মেটার বর্তমান বিনিয়োগ: বিগত কয়েক বছরে মেটা মূলত ইনস্টাগ্রাম, রিলস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেটাভার্সের দিকে বেশিরভাগ বিনিয়োগ করেছে। তবে, এখন ফেসবুককে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। জাকারবার্গ জানিয়েছেন যে, দীর্ঘমেয়াদে মেটা এআই অবকাঠামোয় শতশত কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এবং ২০২৫ সাল মেটাভার্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর হবে।
মেটার রাজস্ব বৃদ্ধি: মেটার ত্রৈমাসিক ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কোম্পানিটির রাজস্ব ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৮৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এই উন্নতি মেটার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দেয়, যা তাদের আগামী বছরের উদ্যোগগুলোকে আরো শক্তিশালী করবে।
ফেসবুকের ভবিষ্যৎ: এখন প্রশ্ন হলো, ফেসবুক কি সত্যিই আগের মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে? ব্যবহারকারীরা নতুন পরিবর্তন কিভাবে গ্রহণ করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, জাকারবার্গের এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।