Dhaka ০৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
শিরোনাম :

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবাহ

  • Update Time : ০৯:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 103

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে দেশের নিট রিজার্ভ এখন ২০.৮৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও আইএমএফকে জানানো হয়।

একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা জরুরি। বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন তিন মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানোর সক্ষমতা ধারণ করেছে। নিট রিজার্ভ হিসাব করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, যেখানে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়।

রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবাহ:
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২২ দিনে ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাস শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে জানুয়ারি মাসে ২.১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত আগস্ট থেকে টানা ছয় মাস ধরে প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।

বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলমান এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট তথ্য।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবাহ

Update Time : ০৯:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে দেশের নিট রিজার্ভ এখন ২০.৮৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও আইএমএফকে জানানো হয়।

একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা জরুরি। বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন তিন মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানোর সক্ষমতা ধারণ করেছে। নিট রিজার্ভ হিসাব করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, যেখানে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়।

রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবাহ:
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২২ দিনে ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাস শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে জানুয়ারি মাসে ২.১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত আগস্ট থেকে টানা ছয় মাস ধরে প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।

বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলমান এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট তথ্য।