Dhaka ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

হাসনাতের বক্তব্য রাজনৈতিক স্টান্টবাজি: সেনাবাহিনীর কঠোর জবাব

  • Update Time : ১০:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 80

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন যে, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ভারতের একটি পরিকল্পনা সেনানিবাসে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পোস্টটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

সেনাবাহিনীর জবাব:
সেনাবাহিনী সদরদপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ১১ মার্চ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক নেতা সারজিস আলমের বৈঠক হয়েছিল। তবে এই বৈঠকটি হাসনাত ও সারজিসের অনুরোধেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতির মূল বক্তব্য:

  1. হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্টান্টবাজি।
  2. বৈঠকটি হাসনাত ও সারজিসের অনুরোধেই হয়েছিল।
  3. সেনাপ্রধান হাসনাত ও সারজিসকে নতুন দল গঠন ও রাজনৈতিক পথ চলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
  4. আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব বা চাপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি:
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, বৈঠকের এক পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন, “ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স।” সেনাবাহিনী এই দাবিকেও অস্বীকার করেছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। হাসনাত আব্দুল্লাহর অভিযোগ এবং সেনাবাহিনীর জবাব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য কোনো সত্যতা বহন করে না এবং এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচারণা।

সেনাবাহিনীর বিবৃতির শেষ কথাঃ
সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের ১০ দিন পর হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের পোস্ট দেওয়াকে সেনাবাহিনী “রাজনৈতিক স্টান্টবাজি” বলে অভিহিত করেছে এবং এটিকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্প বলে উল্লেখ করেছে।

মিডিয়া কভারেজ:
সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ এই ঘটনাটি কভার করেছে এবং সেনাবাহিনীর বিবৃতিটি নিশ্চিত করেছে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে তারা স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথাঃ
হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য এবং সেনাবাহিনীর জবাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঘটনাটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

হাসনাতের বক্তব্য রাজনৈতিক স্টান্টবাজি: সেনাবাহিনীর কঠোর জবাব

Update Time : ১০:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ গত শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন যে, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ভারতের একটি পরিকল্পনা সেনানিবাসে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পোস্টটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

সেনাবাহিনীর জবাব:
সেনাবাহিনী সদরদপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ১১ মার্চ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক নেতা সারজিস আলমের বৈঠক হয়েছিল। তবে এই বৈঠকটি হাসনাত ও সারজিসের অনুরোধেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতির মূল বক্তব্য:

  1. হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্টান্টবাজি।
  2. বৈঠকটি হাসনাত ও সারজিসের অনুরোধেই হয়েছিল।
  3. সেনাপ্রধান হাসনাত ও সারজিসকে নতুন দল গঠন ও রাজনৈতিক পথ চলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
  4. আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব বা চাপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি:
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, বৈঠকের এক পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন, “ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স।” সেনাবাহিনী এই দাবিকেও অস্বীকার করেছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। হাসনাত আব্দুল্লাহর অভিযোগ এবং সেনাবাহিনীর জবাব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য কোনো সত্যতা বহন করে না এবং এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচারণা।

সেনাবাহিনীর বিবৃতির শেষ কথাঃ
সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের ১০ দিন পর হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের পোস্ট দেওয়াকে সেনাবাহিনী “রাজনৈতিক স্টান্টবাজি” বলে অভিহিত করেছে এবং এটিকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্প বলে উল্লেখ করেছে।

মিডিয়া কভারেজ:
সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ এই ঘটনাটি কভার করেছে এবং সেনাবাহিনীর বিবৃতিটি নিশ্চিত করেছে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে তারা স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথাঃ
হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য এবং সেনাবাহিনীর জবাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঘটনাটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।