Dhaka ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
শিরোনাম :

হাইকোর্টের রায়ে বাতিল: ৬,৫৩১ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের নিয়োগপত্র

  • Update Time : ০৮:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 101

হাইকোর্টের রায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিল

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ রায় প্রদান করেন।

এর আগে, ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একই বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন। ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে, যেখানে ৬,৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

প্রসঙ্গত, ২৮ মে হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এই রায়ের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি হলো। প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আদালতের রায়ের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এছাড়া, কোটা পদ্ধতি অনুসরণে সঠিক নিয়মাবলী মেনে চলা উচিত।

প্রার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আপিল করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে।

এই রায়ের প্রভাব প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে পড়তে পারে। শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

হাইকোর্টের রায়ে বাতিল: ৬,৫৩১ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের নিয়োগপত্র

Update Time : ০৮:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হাইকোর্টের রায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিল

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ রায় প্রদান করেন।

এর আগে, ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একই বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন। ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে, যেখানে ৬,৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

প্রসঙ্গত, ২৮ মে হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এই রায়ের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি হলো। প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আদালতের রায়ের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এছাড়া, কোটা পদ্ধতি অনুসরণে সঠিক নিয়মাবলী মেনে চলা উচিত।

প্রার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন আইনি পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আপিল করা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে।

এই রায়ের প্রভাব প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে পড়তে পারে। শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।