মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: এবার কি শান্তি স্থায়ী হবে?

- Update Time : ০৮:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
- / 24
ঢাকা, ১০ মে ২০২৫ – সাম্প্রতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই যুদ্ধবিরতি আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার (১০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, “দিনভর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে। আমরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ভূমিকাকে বিশেষভাবে স্বীকার করছি।”
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান আজ গুলিবর্ষণ ও সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন, এবং এই নীতি অব্যাহত থাকবে।”
চুক্তির মূল শর্তাবলি
ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মহাপরিচালকরা (ডিজিএমও) একমত হয়েছেন যে, উভয় পক্ষ বিকেল ৫টা থেকে স্থল, নৌ ও আকাশসীমায় সকল প্রকার গুলিবর্ষণ ও সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করবে। এই নির্দেশনা উভয় দেশের সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও শান্তির প্রচেষ্টার জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।”
প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ
এই যুদ্ধবিরতিকে দক্ষিণ এশিয়ার অস্থির পরিস্থিতিতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই চুক্তি ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। তবে, স্থায়ী শান্তির জন্য উভয় দেশের মধ্যে আরও কূটনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মত দিচ্ছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
উভয় দেশই এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, সীমান্তে উত্তেজনা পুনরায় না বাড়াতে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি যদি টেকসই হয়, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।