জাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙলেন উপাচার্য, পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস

- Update Time : ১২:২০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 34
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ১৯ ঘণ্টাব্যাপী অনশনের পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অনশনরত ১৪ শিক্ষার্থীকে জুস পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙানোর ব্যবস্থা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে, প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সহমত পোষণ করেছে। তিনি জানান, বিকাল ৩টার দিকে পোষ্য কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে এবং যৌক্তিক সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের মাহফুজুল ইসলাম মেঘ, ৪৮তম ব্যাচের মুয়িদ মুহাম্মদ ফাহিম, নাজিরুল ইসলাম, ৪৯তম ব্যাচের শাফায়েত মীর, নাহিদ হোসেন ইমন, ৫০তম ব্যাচের নাজমুল হোসেন লিমন, মোহাম্মদ রায়হান, গালিব হোসেন, রায়হান উদ্দিন, ৫১তম ব্যাচের নাদিয়া রহমান অন্বেষা, জাইবা জাফরিন, মেহরাব তূর্য, আল নাহিয়ান, এবং ৫৩তম ব্যাচের মোহাম্মদ আলী চিশতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতি বলেন, “প্রশাসন আমাদের দাবির প্রতি নৈতিক সহমত পোষণ করেছে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যদি ভবিষ্যতে এই কোটা পুনরায় চালু করা হয়, তাহলে আমরা আবারও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করব।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল জানান, “প্রশাসন আমাদের সঙ্গে নীতিগত সমঝোতা করেছে। আজ বিকেল ৩টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সর্বসম্মতভাবে একটি সমাধানে পৌঁছানোর আশা রয়েছে।”
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আটজন শিক্ষার্থী আমৃত্যু অনশন শুরু করেন। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আরও ছয় শিক্ষার্থী যোগ দেন, যার ফলে এই আন্দোলনটি ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব পোষণ করলেও, পোষ্য কোটা বাতিল বা পুনরায় সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আজ বিকেল ৩টার আলোচনা সভার ফলাফলের দিকে শিক্ষার্থীরা নজর রেখেছে।