এক যুগ পর জামায়াতের রাজনীতিতে ফিরে আসা!

- Update Time : ১১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 8

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। প্রিয়াই এক যুগ পর ফিরে পেলো জামায়াতের নিবন্ধন।
এক যুগ পর রাজনীতিতে ফিরলো জামায়াতে ইসলামী – সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নিবন্ধন ফিরে পেল দলটি
দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ এক ঐতিহাসিক রায়ে নির্বাচন কমিশনকে দলটির নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
রবিবার (১ জুন) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ-এর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে আগের প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” ব্যবহার করতে পারবে কি না, তা নির্ধারণ করবে ইসি নিজেই।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে জামায়াতের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন যারা:
- ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক
- ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক
- অ্যাডভোকেট শিশির মনির
- ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন
- ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম
২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আব্দুল লতিফ, ও অন্যান্য ইসলামী দলীয় নেতৃবৃন্দ।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
এরপর ২০১৮ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জামায়াতের নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করে দেয়।
২০২৫ সালে, বর্তমান সরকারের পতনের দুই মাস পর, জামায়াতে ইসলামী বাতিল হওয়া সেই নিবন্ধন পুনরায় পেতে আপিল বিভাগে পূর্বের খারিজ হওয়া আবেদন পুনর্জীবিত করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর আজই সেই বহু প্রতীক্ষিত রায় এল।
এই রায়ের মাধ্যমে আবারো নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে জামায়াতের প্রত্যাবর্তনের পথ পরিষ্কার হলো। দলটি আগাম নির্বাচন, রাজনৈতিক জোট গঠন এবং রাজনৈতিক প্রচারে অংশ নিতে পারবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।