খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা: চার মাসের চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

- Update Time : ১১:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 31
ঢাকা, ৬ মে ২০২৫:
চার মাসের দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশের মাটিতে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তার বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
চিকিৎসা ও ফেরার প্রেক্ষাপট
গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। পরদিন ৮ জানুয়ারি হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এরপর তাকে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং সেখানেই নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ চলতে থাকে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, লন্ডনে চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরপর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি বাংলাদেশে ফিরেন।
ফ্লাইট ও সফরসঙ্গীরা
খালেদা জিয়া গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল টিমের সদস্যরা। মোট ৯ জনের একটি দল তাকে সঙ্গ দিয়েছে।
রাজনৈতিক ও জাতীয় প্রেক্ষিত
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
স্বাস্থ্যগত উন্নতি সত্ত্বেও তার চলাচল ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কতটুকু সক্রিয় হবে, তা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। সরকার ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক, আগামী নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংলাপের সম্ভাবনা নিয়েও এই ফেরাকে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।
জনসমর্থন ও প্রতিক্রিয়া
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়ার সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বিএনপির নেতৃত্ব তার সুস্থতা কামনা করে এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ট্রেন্ড বিডি নিউজ-এর বিশ্লেষণ বলছে, খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ফেরাই নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। আগামী দিনগুলোতে তার ভূমিকা এবং দলের কৌশল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।