Dhaka ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

মেক্সিকো মার্কিন সামরিক বিমানের অবতরণ নিষিদ্ধ, অভিবাসন নীতিতে নতুন উত্তেজনা

  • Update Time : ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 36

গত বছর, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নির্বাচনী জয়লাভের পর, ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকে একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে মার্কিন প্রশাসন। এসব আদেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনাও ছিল।

এখন, মার্কিন প্রশাসন তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে, পাঁচ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুক্রবার একটি মার্কিন সামরিক বিমান ১৫০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করেছিল, কিন্তু মেক্সিকো তাদের বিমানটি অবতরণ করতে দেয়নি।

বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ মার্কিন সি-১৭ পরিবহন বিমানটির অবতরণ নিষিদ্ধ করে, যার ফলে এটি পরিকল্পনা অনুযায়ী মেক্সিকোর আকাশে প্রবেশ করতে পারেনি। মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তাদের দেশের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘খুবই চমৎকার সম্পর্ক’ বিদ্যমান এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোতে একে অপরকে সহায়তা করতে তারা সদা প্রস্তুত।

তবে, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমানটির অবতরণ নিষিদ্ধ করার পিছনের কারণটি স্পষ্টভাবে জানায়নি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই ঘটনা দুটি দেশের মধ্যে অভিবাসন ইস্যুতে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মধ্যে সম্পর্কের ওপর এই ধরনের ঘটনা কী প্রভাব ফেলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি:
মার্কিন সামরিক বিমানটির অবতরণ না হওয়ার ঘটনা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির আরও একটি প্রমাণ হতে পারে। ২০১৬ সালে, ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, এবং বর্তমানে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে তিনি দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক এবং অভিবাসন ইস্যুতে সামনের দিনগুলোতে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

মেক্সিকো মার্কিন সামরিক বিমানের অবতরণ নিষিদ্ধ, অভিবাসন নীতিতে নতুন উত্তেজনা

Update Time : ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছর, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নির্বাচনী জয়লাভের পর, ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকে একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে মার্কিন প্রশাসন। এসব আদেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনাও ছিল।

এখন, মার্কিন প্রশাসন তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে, পাঁচ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুক্রবার একটি মার্কিন সামরিক বিমান ১৫০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করেছিল, কিন্তু মেক্সিকো তাদের বিমানটি অবতরণ করতে দেয়নি।

বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ মার্কিন সি-১৭ পরিবহন বিমানটির অবতরণ নিষিদ্ধ করে, যার ফলে এটি পরিকল্পনা অনুযায়ী মেক্সিকোর আকাশে প্রবেশ করতে পারেনি। মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তাদের দেশের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘খুবই চমৎকার সম্পর্ক’ বিদ্যমান এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোতে একে অপরকে সহায়তা করতে তারা সদা প্রস্তুত।

তবে, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমানটির অবতরণ নিষিদ্ধ করার পিছনের কারণটি স্পষ্টভাবে জানায়নি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই ঘটনা দুটি দেশের মধ্যে অভিবাসন ইস্যুতে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মধ্যে সম্পর্কের ওপর এই ধরনের ঘটনা কী প্রভাব ফেলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি:
মার্কিন সামরিক বিমানটির অবতরণ না হওয়ার ঘটনা ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির আরও একটি প্রমাণ হতে পারে। ২০১৬ সালে, ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, এবং বর্তমানে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে তিনি দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক এবং অভিবাসন ইস্যুতে সামনের দিনগুলোতে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।