মোদি-ট্রাম্প বৈঠক: শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা

- Update Time : ০৬:২১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 32
হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে, ট্রাম্প মোদিকে ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করলেও এক বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্য কিছু দেশের মতো ভারতও উচ্চ শুল্ক আরোপ থেকে রেহাই পাবে না।
এর আগে ট্রাম্প ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মোদি সরকারের আমদানি শুল্কের হারকে ‘অত্যন্ত অন্যায্য’ বলেছিলেন। তবে এই বৈঠকের সময়, ট্রাম্প বলেন, “ভারত যে শুল্ক আরোপ করুক না কেন, আমরাও তাদের কাছ থেকে শুল্ক নিই। সত্যি বলতে, তাদের শুল্ক কী, তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি, যা প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার, নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়ে আরও কিছু কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন।
এছাড়া, ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ভারতের কাছে ‘কয়েক মিলিয়ন ডলারের’ সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বাড়াবে, যার ফলে ভারতকে এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান সরবরাহের পথ প্রশস্ত হবে। এর মাধ্যমে, ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
মোদির হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সই করেন, যার মধ্যে ভারতও অন্তর্ভুক্ত। এটি ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের বড় একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপ, যা ভারতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এদিকে, ভারতের উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে, মোদি প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। মোদি সরকারের আগ্রহ রয়েছে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আরও বেশি মার্কিন তেল আমদানি করার।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানান, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা এবং মেক্সিকোর মতো দেশের বিরুদ্ধেও তিনি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। এর পাশাপাশি, ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে, সম্প্রতি ১০৪ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
মোদি এ বিষয়ে বলেন, “যে কোনো ভারতীয় যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করেন, তাদের ফিরিয়ে নিতে ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
এভাবে, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে, যেখানে শুল্ক, বাণিজ্য এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে দুই দেশের মাঝে একাধিক দ্বন্দ্বের সুর তোলা হচ্ছে।