Dhaka ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :

চাঁদে পানির সন্ধানে নাসার নতুন মিশন: স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

  • Update Time : ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 20

চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে পানির সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সফলভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্সের ফ্যালকন-নাইন রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় স্যাটেলাইটটি।

এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে উচ্চ রেজ্যুলেশনের ছবি তুলে পানির সম্ভাব্য উৎস খুঁজে বের করা। লুনার ট্রেইলব্লেজার নামের এই স্পেসশিপ স্যাটেলাইটটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে। স্যাটেলাইটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটার এবং ওজন ২০০ কেজি।

এর আগে, চাঁদের সূর্যালোকিত অংশে সামান্য পরিমাণ পানি পাওয়া গিয়েছিল। তবে, এবার চাঁদের ঠান্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে পানির সন্ধান চালানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অংশে বরফ আকারে বিপুল পরিমাণ পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পানি যদি পাওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপন এবং মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নাসার এই মিশনটি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। চাঁদের পানির সন্ধান শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণাই নয়, ভবিষ্যতে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের জন্যও এটি অপরিহার্য।

এই স্যাটেলাইট মিশনের মাধ্যমে চাঁদের পানির উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। নাসার এই উদ্যোগকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

চাঁদে পানির সন্ধানে নাসার নতুন মিশন: স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

Update Time : ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে পানির সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সফলভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্সের ফ্যালকন-নাইন রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় স্যাটেলাইটটি।

এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে উচ্চ রেজ্যুলেশনের ছবি তুলে পানির সম্ভাব্য উৎস খুঁজে বের করা। লুনার ট্রেইলব্লেজার নামের এই স্পেসশিপ স্যাটেলাইটটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে। স্যাটেলাইটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটার এবং ওজন ২০০ কেজি।

এর আগে, চাঁদের সূর্যালোকিত অংশে সামান্য পরিমাণ পানি পাওয়া গিয়েছিল। তবে, এবার চাঁদের ঠান্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে পানির সন্ধান চালানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অংশে বরফ আকারে বিপুল পরিমাণ পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পানি যদি পাওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপন এবং মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নাসার এই মিশনটি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। চাঁদের পানির সন্ধান শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণাই নয়, ভবিষ্যতে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের জন্যও এটি অপরিহার্য।

এই স্যাটেলাইট মিশনের মাধ্যমে চাঁদের পানির উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। নাসার এই উদ্যোগকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।