রাজনীতি না অস্ত্রের রাজত্ব: তুচ্ছ ঘটনায় গুলি, কোথায় যাচ্ছে আমাদের সমাজ?

- Update Time : ০৯:২৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 73
যখন দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় যুক্তির বদলে অস্ত্র উঠে আসে, তখন প্রশ্ন ওঠে—আমাদের সমাজ কোন পথে চলছে? যশোরের চৌগাছা উপজেলায় শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপি কর্মী আজগর আলী (২৬)।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে সৈয়দপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সূত্রপাত হয় দুই পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ নিয়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইমরান (২৫) অতর্কিত আজগরকে গুলি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনীতির নামে সহিংসতা: সাধারণ মানুষ কি নিরাপদ?
শুধু একটি মতবিরোধ থেকেই কীভাবে একটি সংঘর্ষ এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যায়? আজগর আলীর বাবা আব্বাস আলী এবং ইমরানের চাচা আলতাফ হোসেনের মধ্যে তর্কাতর্কির জেরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়, তা এতদূর গড়াবে, তা কেউ ভাবেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তর্কাতর্কির কিছুক্ষণের মধ্যেই ইমরান সরাসরি গুলি ছোড়েন, যার একটি এসে আজগরের পায়ে লাগে। পুলিশ পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—ইমরানের হাতে অবৈধ অস্ত্র এল কীভাবে?
রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অস্ত্রের খেলা?
একটি সাধারণ রাজনৈতিক মতবিরোধ থেকে যদি এমন সহিংসতার জন্ম হয়, তাহলে আমরা কোন সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অবৈধ অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে? আজকের গুলির ঘটনা কি ভবিষ্যতে আরও বড় সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে?
সচেতন সমাজের প্রয়োজন
যে সমাজে মানুষের জীবন তুচ্ছ হয়ে যায় রাজনৈতিক পরিচয়ের সামনে, সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাটা জরুরি। রাজনীতির নামে অস্ত্রের ব্যবহার কি আমাদের দেশকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, নাকি আরও ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে?
এই ঘটনার পর ইমরান পলাতক থাকলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আমাদের সমাজ ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে—রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, অস্ত্রের নয়।
সূত্র – প্রথমআলো