রমজান তারিখ ঘোষণা: ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ১ মার্চ থেকে শুরু

- Update Time : ০৯:৩০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 92
পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার পর ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ১ মার্চ থেকে রোজা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার ভিত্তিতে একই তারিখে রমজান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রমজানের তাৎপর্য
রমজান ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং এটি মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র সময়। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে বিরত থেকে সংযম ও আত্মশুদ্ধির চর্চা করেন। এ মাসে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দান-খয়রাত এবং সম্প্রদায়ের কাজে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করা হয়।
রমজান কেন প্রতি বছর ভিন্ন তারিখে শুরু হয়?
ইসলামী ক্যালেন্ডার চন্দ্র মাসের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। চন্দ্র ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের চেয়ে ১০ থেকে ১১ দিন ছোট হওয়ায় প্রতি বছর রমজানের তারিখ পরিবর্তন হয়। নতুন চাঁদ দেখা গেলেই রমজান মাস শুরু হয় বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করা হয়, যারা চাঁদ দেখার পর রমজান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
রমজানের প্রস্তুতি
রমজান মাস আসার আগে থেকেই মুসলমানরা নানাভাবে প্রস্তুতি নেন। এই মাসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, ইফতার আয়োজন এবং মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। অনেকেই রমজানের আগে থেকেই খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন। ইফতারের সময় পরিবার ও বন্ধুদের একত্রিত হওয়ার প্রথা রয়েছে। অনেক মসজিদে বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করা হয়, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারেন।
রমজানের শিক্ষা
রমজান মাস মুসলমানদের সংযম, সহানুভূতি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়। এই মাসে দান-খয়রাত এবং গরিবদের সাহায্য করার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা করা হয়। রমজান শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপনের মাধ্যমে মুসলমানরা আনন্দ ও উদারতার সঙ্গে এই পবিত্র মাসের সমাপ্তি ঘটান।
সূত্র: ট্রেন্ড বিডি নিউজ