সালমান খানের জীবনের দুটি খাবার যা তিনি ছুঁয়েও দেখেননি

- Update Time : ০৭:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 126
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী তারকা সালমান খান, যিনি শুধু অভিনয়ের জন্যই পরিচিত নন, বরং তার ব্যক্তিগত জীবন এবং দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও গণমাধ্যমে আলোচনা হয়ে থাকেন। বিশেষ করে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার অবস্থান নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে সালমান নিজের অবস্থান এবং মতামত পরিষ্কারভাবেই তুলে ধরেছেন।
ভারতে গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে, এবং তা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে একাধিকবার আলোচিত হয়েছে। এই বিতর্কে যোগ দিয়ে, সালমান খান জানান যে, তিনি কখনো গরুর মাংস খান না। তার মতে, গরু শুধু হিন্দু ধর্মের একজন পবিত্র প্রাণী নয়, বরং এটি তার জন্য মায়ের মতোই।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এক সাক্ষাৎকারে সালমান খান বলেন, “গরু আমাদের মা, আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এটি আমারও মা। আমি কখনো গরুর মাংস ছুঁয়েও দেখিনি, কারণ এটা আমার ধর্ম এবং মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
এছাড়া, সালমান তার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আরও বলেন, “আমি বিফ (গরুর মাংস) এবং পর্ক (শুয়োরের মাংস) বাদে প্রায় সব কিছুই খাই।” এ সময় তিনি আরো জানান, তার পরিবারে বিভিন্ন ধর্মের লোক রয়েছে, যা তার জীবন এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে অনেক বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। “আমার মা হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বাবা মুসলিম, এবং আমার আরেক মা খ্রিষ্টান। আমি বিশ্বাস করি, সব ধর্মেরই মূল্য রয়েছে এবং আমার বাড়ি এক ধরনের ধর্মীয় সমন্বয়ের প্রতীক।”
সালমান খান তার জীবনের বিভিন্ন দিকেও বহুদেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন এবং নিজের ঘরেও একাধিক ধর্মীয় উৎসব যেমন গণেশ চতুর্থী, দিওয়ালি এবং ঈদ উদযাপন করেন। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়, তিনি মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী এবং সকল ধর্মের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে চান।
এরপরও, সালমান খানকে অনেক সময় দেশদ্রোহী হিসেবে আক্রমণ করা হয়। তবে, এ ধরনের অভিযোগের পরও তিনি নিজেকে ভারতের সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। শুধু ভারতেই নয়, তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরেছেন।
বর্তমানে, সালমান খান তার অ্যাকশন ছবি ‘সিকান্দার’-এর শুটিং করছেন, যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। ছবিটি পরিচালনা করছেন এআর মুরুগাদোস, এবং চলতি বছর ঈদে এটি মুক্তি পাওয়ার কথা।
সালমান খান, তার বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যে বার্তা দেন তা হলো—মানবতা, ধর্মের প্রতি সম্মান এবং একসঙ্গে জীবনযাপন।