সারাদেশের মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

- Update Time : ১১:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 79
পবিত্র রমজান মাসে সারাদেশের মসজিদগুলোতে খতমে তারাবিহ নামাজের সময় একই পদ্ধতি অনুসরণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য খতমে তারাবিহ একটি বিশেষ ইবাদত। এই নামাজে পবিত্র কুরআন খতম করা হয়। তবে দেশের বিভিন্ন মসজিদে এই খতমের পদ্ধতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। এই ভিন্নতার কারণে যারা বিভিন্ন মসজিদে তারাবিহ পড়েন, বিশেষ করে কর্মজীবী মুসল্লিরা, তারা কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেন না। এতে করে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকে বঞ্চিত হন এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ ও অতৃপ্তি তৈরি হয়।
এই সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি সমন্বিত পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে। সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী, রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে মোট ৯ পারা এবং পরবর্তী ২১ দিনে দিনে ১ পারা করে মোট ২১ পারা তিলাওয়াত করা হলে, ২৭ রমজানের রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরের রাতে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে সারাদেশের সব মসজিদে একই সময়ে কুরআন খতম সম্পন্ন করা যাবে, যা মুসল্লিদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এই সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় ইবাদতের যথাযথ পালন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আহ্বানটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মুসল্লিদের জন্য রমজান মাসের ইবাদতকে আরও সুসংহত ও অর্থবহ করে তুলবে। এছাড়াও, এটি ধর্মীয় ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রমজান মাসের পবিত্রতা ও তাৎপর্য রক্ষায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়। এবারের রমজানে সারাদেশের মসজিদগুলোতে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার এই আহ্বান সফল হলে, এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।