Dhaka ০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
শিরোনাম :
বিভাজনের নতুন রাজনীতি ও জাতীয় ষড়যন্ত্রের হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সংগীতশিল্পী নোবেল কারাগারে কাশিমপুর থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির, কারাগারে প্রেরণের আবেদন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসার: চিকিৎসা ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আইনের শাসন ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের স্থানীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক: নিষিদ্ধ মিছিলে ডিবি’র কঠোর ব্যবস্থা

সেনবাগে ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যা: কোদালের আঘাতে নিহত ৬০ বছর বৃদ্ধ

  • Update Time : ১০:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 20

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক ভাইয়ের হাতে আরেক ভাই নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাবিলপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত ব্যক্তি মো. আমিন উল্লাহ (৬০) পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বড় ভাই আবদুল মোতালেব লাউ গাছের জন্য মাটি কাটতে কোদাল নিয়ে বাগানে যান। এ সময় ছোট ভাই আমিন উল্লাহ তাকে মাটি কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। উত্তপ্ত মুহূর্তে আবদুল মোতালেব কোদাল দিয়ে ছোট ভাই আমিন উল্লাহর বুকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আমিন উল্লাহকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিখোঁজ অভিযুক্ত

ঘটনার পর অভিযুক্ত বড় ভাই আবদুল মোতালেব এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগেও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা ও তর্কের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার তা রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

ঘটনাটি এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত ছিল। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। তবে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেউ আশা করেনি।

প্রশাসনের তদন্ত

পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেষকৃত্য

নিহত আমিন উল্লাহর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ ধরনের পারিবারিক বিরোধ ও হত্যাকাণ্ড সমাজে একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোই পারে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে।

ট্রেন্ডবিডিনিউজ প্রতিবেদন

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Cricket Update

সেনবাগে ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যা: কোদালের আঘাতে নিহত ৬০ বছর বৃদ্ধ

Update Time : ১০:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক ভাইয়ের হাতে আরেক ভাই নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাবিলপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত ব্যক্তি মো. আমিন উল্লাহ (৬০) পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বড় ভাই আবদুল মোতালেব লাউ গাছের জন্য মাটি কাটতে কোদাল নিয়ে বাগানে যান। এ সময় ছোট ভাই আমিন উল্লাহ তাকে মাটি কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। উত্তপ্ত মুহূর্তে আবদুল মোতালেব কোদাল দিয়ে ছোট ভাই আমিন উল্লাহর বুকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আমিন উল্লাহকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিখোঁজ অভিযুক্ত

ঘটনার পর অভিযুক্ত বড় ভাই আবদুল মোতালেব এলাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগেও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা ও তর্কের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার তা রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

ঘটনাটি এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত ছিল। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। তবে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেউ আশা করেনি।

প্রশাসনের তদন্ত

পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেষকৃত্য

নিহত আমিন উল্লাহর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এ ধরনের পারিবারিক বিরোধ ও হত্যাকাণ্ড সমাজে একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোই পারে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে।

ট্রেন্ডবিডিনিউজ প্রতিবেদন