২০২৫ সালে পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর অবস্থান নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জনপ্রিয় লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তথ্যমতে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট ৯৩তম স্থানে রয়েছে, যা গত বছর ৯৭তম ছিল। এই সূচকে সিঙ্গাপুর শীর্ষে এবং আফগানিস্তান সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে।

সিঙ্গাপুরের জয়

পাসপোর্টের শক্তির ভিত্তি হলো ভিসা-মুক্ত বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধার ওপর। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে স্বীকৃত, যা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশাধিকার প্রদান করে। এটি বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান, যা একে অপরের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, ১৯০টি দেশে ভ্রমণ সুবিধা পায়।

বাংলাদেশের অবস্থান

বাংলাদেশ ২০২৫ সালের পাসপোর্ট সূচকে ৯৩তম স্থান অর্জন করেছে, যেখানে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন। গত বছর, বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম, ২০২৩ সালে ছিল ৯৮তম, এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ৯৩তম স্থানে উঠে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারতেন। তবে এই সংখ্যা কিছুটা কমে ৩৯-এ দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এই অবস্থানে রয়েছে লিবিয়া এবং ফিলিস্তিনের সঙ্গে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর অবস্থা

পাশাপাশি, ভারত ৮০তম স্থানে অবস্থান করছে, যা ৫৬টি দেশে সহজ প্রবেশাধিকার পায়। পাকিস্তান ৯৬তম স্থান অর্জন করেছে, এবং নেপাল ৯৪তম স্থানে রয়েছে। মিয়ানমার ৮৮তম স্থানে স্থান পেয়েছে, যার পাসপোর্টধারীরা ৪৫টি দেশে প্রবেশ করতে পারেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অগ্রগতি

এবার সূচকে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৫ সালে যেখানে দেশটির অবস্থান ছিল ৩২তম, তা এখন ৮ম স্থানে পৌঁছেছে। ১৮৪টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে দেশটি এখন শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে।

চীনের অগ্রগতি

চীনের পাসপোর্টও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। ২০১৫ সালে ৯৪তম স্থানে থাকলেও এখন এটি ৫৯তম স্থানে উঠে এসেছে, যার পাসপোর্টধারীরা ৮৩টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন।

সিঙ্গাপুর থেকে আফগানিস্তান

অন্যদিকে, আফগানিস্তান এখনও সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, যার পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৭টি দেশে প্রবেশ করতে পারেন।

উপসংহার

পাসপোর্ট শক্তির সূচক দেশের আন্তর্জাতিক মাকেটিং এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি এক নতুন সূচক সূচনা করেছে, তবে বিশ্বে সেরা অবস্থানে থাকতে আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।